মনিরুল ইসলাম : [১] টানা ৫৪ দিন পর রোববার জাতীয় সংসদে মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক বসেছে। সংসদীয় ইতিহাসে এতো টানা বন্ধ থাকেনি বৈঠক। করোনাভাইরাসের কারণেই নিয়মিত বৈঠকের ব্যত্যয় ঘটেছে। তবে রোববার স্বল্প সময়ের জন্য স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। স্বাস্থ্য বিধি মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে সংসদ সচিবালয়ে এক কর্মকতা জানান। গত ২৪ মার্চ সর্বশেষ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
[২] জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১২তম বৈঠকে রোববার বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান সভাপতিত্ব করেন।
[৩] বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ.কে. আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মো. হাবিবে মিল্লাত, নাহিম রাজ্জাক এবং কাজী নাবিল আহমেদ অংশগ্রহণ করেন।
[৪] বৈঠকে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসীম সাহস নিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তণ করায় এ দিনটিকে ঐতিহাসিক দিন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রীকে কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
[৫] বৈঠকে করোনা মহামারিকালে পররাষ্ট্র যে সকল সেবা প্রদান করেছে এবং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে কোন কোন দেশকে কি কি সাহায্য করেছে এবং কোন কোন দেশ হতে কি সাহায্য পেয়েছে সে বিষয়ে একটি মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করোনা বিষয়ক সেলের প্রধান ড. খলিলুর রহমান। তিনি তাঁর উপস্থাপনায় বাংলাদেশ থেকে বিদেশীদের ফেরৎপাঠানোর ব্যবস্থাসহ বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন।
[৬] এসময় তিনি করোনা ভাইরাসযুক্ত নতুন পরিবেশে কিভাবে নতুন প্রেক্ষাপটে এ পরিবেশের সাথে সমন্বয় করে একটি স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নির্বাহ করা যায় তার একটি রুপরেখো উপস্থাপন করেন। তিনি নতুন প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বিশ্বের সাথে যোগাযোগ রেখে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার করতে বাংলাদেশে তৈরি পণ্য রপ্তানীর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ বিষয়ে তিনি বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোকে সে দেশের চাহিদা নিরুপন করে বাংলাদেশকে জানানোর এবং সে আলোকে রুপরেখা প্রণয়ন করে একটি পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে তা বাস্থবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
[৭] বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বর্তমান কার্যক্রমের ওপর সপ্তাহে একদিন ব্রিফিং সেশন আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়।
[৮] বৈঠকে জাপান ও রুমানিয়ায় বাংলাদেশী মিশনে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদ্বয় উপস্থিত ছিলেন। জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দীন আহমেদ ও রুমানিয়ার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী সে দেশে তাদের করণীয়য় বিষয়ে তাদের রুপরেখা উপস্থাপন করেন।
[৯] বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :