এম.ইউছুপ রেজা, চট্টগ্রাম : [২] চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকালে সরকারি নির্দেশনা না মেনে ঈদে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্
[৩] রশাসনের পক্ষ থেকে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি মেনে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, পারকি সমুদ্র সৈকত, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতসহ চট্টগ্রামের সব ধরণের বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশনাও রয়েছে।
[৪] বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম জানান, সরকারি নির্দেশনা না মেনে কেউ বিনোদনকেন্দ্র চালু করলে বা কেউ বিনোদনকেন্দ্রে ভিড় করলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামে সব ধরণের জনসমাগম নিষিদ্ধ রয়েছে। এই নির্দেশনা অমান্য করে কেউ বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করতে পারবে না।
[৫] তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার একটা প্রবণতা সবার মধ্যে থাকে। সবাই বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘরে থাকার কোনো বিকল্প নেই। তাই এ বছর বিনোদনকেন্দ্রে ভিড় না করে সবাইকে ঘরে থাকতে হবে। ফয়'স লেকসহ বেসরকারি মালিকানাধীন বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে। সরকারি মালিকানাধীন বিনোদনকেন্দ্রগুলোও বন্ধ থাকছে। সৈকতসহ খোলা জায়গার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে যাতে মানুষ যেতে না পারে সেজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’
[৬] উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ১৯ মার্চ করোনা পরিস্থিতিতে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সই করা ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম জেলার সব পিকনিক স্পট, বিনোদন পার্ক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :