প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] আইইডিসিআর’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সময় সম্পাদকীয়তে বলেন, কোভিড-১৯ নিয়ে ১০ সপ্তাহ পাড় করলো বাংলাদেশ। প্রথম দিকে শিথিল দেখলেও এরপরই কিন্তু মোটামুটি একটা কঠোর অবস্থানেই ছিলাম আমরা। যে শহরে পা ফেলার জায়গা পাওয়া যেত না সেটি এখনও ফাঁকা প্রায়। কারণ সিংঞভাগ লোক এখনও সাধারণ ছুটি মেনে ঘরে আছে।
[৩] এক পর্যায়ে মালিকদের চাপে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গার্মেন্টস খুলে দেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু দেখা গেল অধিকাংশ গার্মেন্টসেই তা মানা হলো না। দূর দূর থেকে পায়ে হেঁটে লোকজন কাজে যোগ দিলে। ফলে আবার শিথিলতা দেখা দিল। এরমধ্যে দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত এলো। ফলে সংক্রমণের সংখ্যা হঠাৎ করেই কয়েক গুণ বেড়ে গেল।
[৪] রোগতাত্তি¡কভাবে বলা হয়, আপনি যত শনাক্ত করবেন তা থেকে ২০ থেকে ৩০ ভাগ বাকি থাকবেই। অর্থ্যাৎ শতভাগ কোন কমিউনিটিতেই শনাক্তকরণ সম্ভব নয়। আমাদের আশার দিক এই যে, দেশের সকল অঞ্চল থেকে সন্দেহভাজনদের স্যাম্পল কালেকশন করা হচ্ছে।
[৫] শুক্রবার প্রায় ৯ হাজার স্যাম্পল কালেকশন করা হয়েছে। বর্তমানে ৪১টি ল্যাবে স্যাম্পল কালেকশন চলছে। শুধু টেস্ট করলেই সংক্রমণ কমে যাবে তা কিন্তু নয়।
[৬] প্রকৃত চিত্র হচ্ছে, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পর এখন চট্টগ্রামেও সংক্রমণের হার বাড়ছে। এ অঞ্চলগুলোতে টেস্ট বেশি করলে সংক্রমণের হার আরও বেশি পাওয়া যাবে। আবার খুলনা, বরিশালে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ। সেখানে টেস্ট বেশি করলেও খুব বেশি মাত্রায় আক্রান্ত পাওয়া যাবে না।
[৭] চিন্তার বিষয় হচ্ছে, গত এক সপ্তাহে টেস্টের রেজাল্ট ১৪ শতাংশের বেশি পজিটিভ আসছে। যেটা তার আগের সপ্তাহেও ১০ শতাংশের মতো ছিল। তবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে এ হার খুব বেশি নয়।
[৮] আসলে সচেতনতা ছাড়া এ মহামারী মোকাবেলা করা সম্ভব না। এটি নিয়ন্ত্রণে আমাদের কী কী করতে হবে, এমনকি কীভাবে লিফট ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কে নিয়ম নীতি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে একটি বই আকারে দেয়া আছে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সকলের এটি পড়া উচিত।
[৯] আমরা সংক্রমণের হার একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে রাখতে চাই। কারণ এর মধ্যে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অভার ক্রাউডেড হয়ে গেছে। যদি আক্রান্তের হার আরও বেড়ে যায় সেটি সামাল দেয়ার মতো অবস্থা আমাদের নেই। সূত্র : সময় টিভি