প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট এই অধ্যাপক ডিবিসির সংবাদ সম্প্রসারণ অনুষ্ঠানে আরও বলেন, যখনই জাতীয় জীবনের ক্রান্তিকাল এসেছে আমরা স্যারকে সবসময় পাশে পেয়েছি। অথচ তাঁর অন্তিম দিনে আমরা এই মানুষটাকে সঠিকভাবে বিদায় জানাতে পারলাম। তার চলে যাওয়াটা দূরে থেকে আমাদের নিঃশব্দে দেখতে হলো।
[৩] মানুষকে ভালোবাসা দেবার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তাঁর। আমার সৌভাগ্য ছিল তাঁর কাছাকাছি থাকার। তিনি সবসময়ই মানুষকে নিয়ে থাকতেন। তাঁর সান্নিধ্য আশপাশের মানুষকে আলোকিত করতো। তাঁর কথা যারা শুনতেন তাদের ভেতর একটা স্পর্শ রেখে যেতেন।
[৪] চলামান মহামারীতে আমাদের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আমাদের সংস্কৃতি হলো সবাইকে নিয়ে থাকার। সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলার। পহেলা বৈশাখে আমরা একত্রিত হই। প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়াই। ঈদে আমরা কোলাকুলি করে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাই। যা আমাদের আরও ঘনিষ্টতার দিকে নিয়ে যায়।
[৫] কোভিড-১৯ এসে প্রথম সকলকে জানিয়ে দিল দূরে দূরে থাকতে হবে। আমাদের সংস্কৃতির যে সূত্রগুলো তার বিরুদ্ধে এটি দাঁড়ায়। স্যার এসব বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে পারতেন। কোভিড পরবর্তীতে বাংলাদেশে তাই তাঁর উপস্থিতি প্রয়োজন ছিল ভীষণভাবে।
[৬] স্যার থাকলে একটা মানবিক-মূল্যবোধ সম্পন্ন বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যেতে পারতাম। অসাম্প্রাদায়িক ও বৈষম্যহীন দেশ যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন হবে, মানবাধিকার সুরক্ষা পাবে, প্রত্যেকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে।
[৭] এর আগে যতবার আমরা শত্রুর সামনে পরেছি- সে শত্রু পাকিস্তান হোক বা দেশের ভেতরের কোন শক্তি হোক স্যার আমাদের একটা সমাধানের পথ দেখাতেন। জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতেন। তার এমন প্রয়াণে আমাদের কিছুটা হলেও দিকভ্রান্ত করবে। সূত্র : ডিবিসি টিভি