মুসবা তিন্নি : [২] রোজা রেখে সারাদিন পানি না খাওয়ার ফলে দেহে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য তেমনই একটি যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। রোজায় পানি কম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া ও শাক-সবজি কম খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া আরো নানা কারণেও এই সমস্যা দেখা দেয়।
[৩] যতই চেষ্টা করা হোক এই সমস্যা থেকে সহজে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে খেয়াল করুন খাবার হজম ঠিকভাবে হচ্ছে কি-না। যদি তা না হয় তবে অবশ্যই সমস্যা আরো বাড়বে। অনেকেই এই যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে ওষুধ খেয়ে থাকেন। নিশ্চয়ই জানেন, ওষুধ সেবনের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তাই ওষুধে নয়, ভরসা রাখুন ঘরোয়া সমাধানের উপর।
[৪] চলুন জেনে নেয়া যাক কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে যা খাওয়া জরুরি-
১. লেবু খুবই উপকারী একটি ফল। লেবুর রসে আছে ভিটামিন ও মিনারেল যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই ফলটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে দারুণ সহায়তা করে। সমস্যার সমাধানে একটি লেবুর অর্ধেকটা রস বের করে নিন। এককাপ গরম পানিতে লেবুর রস, এক চা চামচ মধু ও আধা চা চামচ জিরা গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই পানীয় পানে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সহজেই মুক্তি মিলবে।
২. দেহে ভিটামিন-সি এর ঘাটতি পূরণে কমলার জুড়ি নেই। এতে ভিটামিন সি, মিনারেল ও ডায়াটেরি ফাইবার রয়েছে। ডায়াটেরি ফাইবার মলে পানি শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে মল নরম হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা পেতে একটি কমলার রসের সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করুন।
৩. নাসপাতি মধ্যে রয়েছে সরবিটল। এই সরবিটল মলের নির্গমনে বাঁধা দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নাশপাতির রস ভীষণ কার্যকরী। দুটি নাশপাতির বীচি ফেলে টুকরো করে নিন। এবার এগুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে একটি ছাকনিতে রস ছেঁকে নিন। তারপর এর সঙ্গে দুই চামচ লেবুর রস ও একটি চিমটি লবণ মিশিয়ে পান করুন। ইফতারে এই পানীয় বা শরবত খাওয়া খুবই উপকারী।
৫. আপেল প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল। তাছাড়া এতে আরো আছে ভিটামিন আর মিনারেল। আপেলের রস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশ সহায়ক। অন্যদিকে মৌরিতে আছে ডায়াটেরি ফাইবার। এটি মলের মধ্যে পানির অংশ যোগ করে মল করে নরম। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে একটি আপেলের বীজ ফেলে ছোট ছোট টুকরো করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এতে আধা কাপ পানি মিশিয়ে একটি ছাঁকনিতে ছেঁকে রসটুকু বের করে নিন। এর সঙ্গে আধা চা চামচ মৌরির গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। রোজায় সেহরি কিংবা ইফতারে এটি পান করুন।
সূত্র : স্বাস্থ্য বার্তা
আপনার মতামত লিখুন :