শরীফ শাওন : [২] রাষ্ট্র ও মালিকপক্ষ সমর্থিত শ্রমিক নেতাদের নিয়ে হয়েছে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক : আবু হাসান টিপু
[৩] সকল শ্রমিক সংগঠনকে ডাকা উচিৎ ছিলো : তাসলিমা আক্তার
[৪] গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু বলেন, রাষ্ট্রীয় লকডাউন পরিস্থিতে শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মরত আছেন এটা আমাদের বড় প্রাপ্তি। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ মজুরি কর্তন করা হবে অমানবিক। এসময় তিনি সংগঠনের পক্ষ থেকে পোশাক শ্রমিকদের শতভাগ বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবি জানান।
[৫] বিল্পবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সাধারন সম্পাদক আবু হাসান টিপু জানান, সাজানো একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে শ্রমিকদের ৬০ শতাংশ বেতন দেয়ার ঘোষনা দেয়া হয়। শ্রমিকদের ঠকাতে এটা একটা পরিকল্পিত বৈঠক।
[৬] তিনি বলেন, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে শ্রমিক নেতা হিসেবে যাদের ডাকা হয়েছে তারা পুর্ব থেকেই সরকার ও ব্যাক্তিমালিকানাধীন গার্মেন্টস মালিক সমর্থিত। প্রকৃতপক্ষে শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোকে কৈশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়। বৈঠকে অনেক সময় শ্রমিক সংগঠনের জোটগুলোর মধ্যে দু’একটি সংগঠনকে ডাকা হলেও শরীক সংগঠনগুলোকে ডাকা হয় না। দায় এড়াতেই এধরনের কৈশল অবলম্বন করা হয়।
[৭] তিনি আরো বলেন, শ্রমিকদের বাসা ভাড়া, দৈনন্দিন খাবার খরচসহ আনুসাঙ্গিক খরচ অর্ধেক হচ্ছে না। ফলে তাদের পুর্ণ বেতনের দাবি জানাই।
[৮] গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আক্তার বলেন, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে আমরা উপস্থিতি ছিলাম না। উপস্থিত নেতারা শ্রমিকদের পক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেননি। বৈঠকে ৬৫ শতাংশ বেতন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো। পুর্ব থেকেই আমাদের দাবি ছিলো বেতন কর্তন না করা।
[৯] তিনি আরো বলেন, যদি এমন হয় সিদ্ধান্তটা পুর্বে নির্ধারন করে সকলের উপর চাপিয়ে দেয়া হবে, তবে এ বিষয়ে কিছুই বলার নেই।