কূটনৈতিক প্রতিবেদক : [২] মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহকারী ম্যাথিউ পটিনজারের সাথে ফোনে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ সুবিধা চান।
[৩] বুধবার এ তথ্য জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা যেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরে ক্রয়াদেশ বাতিল না করে সে জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তা চেয়েছেন।
[৪ ]করোনাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ সহকারী যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।
[৫] সমুদ্রে ভাসমান মিয়ানমারের অধিবাসী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ম্যাথিউ পটিনজার।
[৬] রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার দায়িত্ব কেবল বাংলাদেশের নয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশেরও উচিত তাদের আশ্রয় দেওয়া এবং দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া।
[৭] যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহবান জানান এবং বাংলাদেশের পরিশ্রমী ও মেধাবী যুবকদের জন্য আইটি সেক্টরকে সম্ভাবনাময়ী উল্লেখ করেন।
[৮] ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা ভুল তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে কেবল তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
[৯] বাংলাদেশের গণমাধ্যম অন্য যেকোন দেশের চেয়ে মুক্তভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করে।
[১০] বাংলাদেশে এখন পিপিই ও মাস্ক তৈরি হচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকে এ সমস্ত চিকিৎসা সামগ্রী আরো বেশি পরিমাণ আমদানি করার অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
[১১] বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী বিষয়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেরিত এক পত্রের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন হোয়াইট হাউসের এই মুখপাত্র।