স্বপন দেব, মৌলভীবাজার: [২] জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থান ও গণমাধ্যমে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বহুল আলোচিত সেই কালিটি চা বাগানের ৫৩৭ চা-শ্রমিকের ১৩ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি, বোনাস দেয়া শুরু হয়েছে।
[৩] জানা যায়, রোববার (১১ মে) থেকে শ্রমিকদের মধ্যে বকেয়া মজুরী দেয়া শুরু করেছে বাগান মালিক পক্ষ। এ দুঃসময়ে বকেয়া মজুরী পেয়ে মহা খুশি চা শ্রমিকরা। এ প্রাপ্তি তাদের দীর্ঘ আন্দোলনের প্রথম বিজয় বলে মনে করছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক পরিবারগুলো।
[৪] বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কালোয়ার বলেন, দীর্ঘ আন্দোলনের পর শ্রমিকদের মজুরি দেয়া হলো। বাকি দাবি বাস্তবায়নের প্রমাসন ও মালিক পক্ষের সম্মতি পাওয়া গেছে। তিনি জানান, আমাদের ১৩ দফা দাবির ছয়টির বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি সাতটি দফা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশের প্রতিটি গণমাধ্যম প্রথম থেকেই আমাদের ন্যায় সংগত দাবির সাথে একাত্ব হয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দাবিগুলো মানতে সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করেছে। এজন্য আমি সকল চা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
[৫] বেতন প্রদানের বিষয়টি স্বীকার করে চা-বাগানের ব্যবস্থাপক প্রণব কান্তি দাশ জানান, শ্রমিকদের মজুরি দেয়া শুরু হয়েছে।
[৬] কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, সকল মহলের প্রচেষ্টায় বিশেষ করে আমাদের জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন মহোদয়ের বিশেষ সহযোগিতায় বারবার বৈঠক করে সমাধানের পথ বের করা হয়েছে। চা-বাগানের সমস্যা সমাধান হওয়ায় সকলেই খুশি হয়েছি। সকলের সহযোগিতায় চা-শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তিনি জানান, বর্তমানে নগদ প্রায় ১ কোটি ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৮৯৭ টাকা চা-শ্রমিকদের দেয়া হবে।
[৭] এসম্পর্কে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন জানান, চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরী আদায় করতে আমরা মালিক পক্ষের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করে একটা সমাধানে আসতে পেরেছি। শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান হওয়ায় সবাইকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ