শিমুল মাহমুদ : [২] দেশের এই বৈশ্বিক মহামারীতে খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য ত্রাণ নিয়ে পুরো শহরময় ছুটছে স্বেচ্ছাসেবীরা। সন্ধ্যায় ইফতার, আর মধ্য রাত্রিতে সেহেরি বিতরনে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে বিদ্যানন্দ।
[৩] মানবিক এমন কর্মকাণ্ডে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রশংসা যখন দেশজুড়ে, তখন ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে সমালোচনার মুখে পরতে হচ্ছে সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতাকে।
[৪] ফেসবুকে এমন সমালোচনায় প্রধান পদ থেকে সরে যাওয়াও ঘোষণা দেন কিশোর কুমার দাশ।
[৫] এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা বিভাগের সমন্বয়ক সালমান খান ইয়াসিন বলেন, তিনি হঠাৎ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেও আমরা তার রিজাইন লেটার অ্যাকসেপ্ট করি নাই। কোভিড-১৯ ক্যাম্পেইন শেষ হলে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপাতত তিনি চেয়ারম্যানের পদে বহাল থাকছেন।
[৬] তিনি আরো জানান, উগ্রবাদী কিছু সংগঠন আর ফেইসবুক ইউজার কারও কারও নেগেটিভ কমেন্টে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন আমাদের চেয়ারম্যান। তাছাড়া কাজের এত চাপও তিনি সামলাতে পারছিলেন না।
[৭] ফাউন্ডেশনের এক ঘোষণায় বলা হয়, ‘বিদ্যানন্দ নামটি দিয়েছেন এক মুসলিম ব্র্যান্ড এক্সপার্ট। আনন্দের মাধ্যমে বিদ্যা অর্জন স্লোগানে তিনি এই নাম দিয়েছিলেন।
[৮] সালমান খান ইয়াসিন আরো বলেন, অনেকেই ব্যক্তির নাম থেকে বিদ্যানন্দ নামের উদ্ভব ভেবে ভুল করেন। এজন্য আমরা নামটাই পরিবর্তন করতে চেয়েছি কিন্তু স্বেচ্ছাসেবকরা রাজী হয় না।
[৯] বিদ্যানন্দের প্রবাসী উদ্যোক্তা সশরীরে খুব অল্পই সময় দিতে পারেন। ৯০% মুসলিম স্বেচ্ছাসেবকরাই চালিয়ে যান বিশাল কর্মযজ্ঞ। তবুও উদ্যোক্তার ধর্ম পরিচয়ে অনেকেই অপপ্রচার চালায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে।
ত্যাগের উপর ভিত্তি করে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা। আর্থিক, সামাজিক কিংবা ব্যক্তিগত ত্যাগে স্বেচ্ছাসেবকরা রচনা করে অনুপ্রেরণার গল্পগুলো।