শিরোনাম
◈ এসএমই মেলা-২০২৪ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ ১১ বছর পর পঞ্চমবার এভারেস্ট জয় করলেন বাংলাদেশের বাবর আলী ◈ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফের বাস্তুচ্যূত ৯ লাখ ফিলিস্তিনি ◈ আরাকান আর্মির শহর দখল, বাড়িঘর জ্বালিয়ে ফের রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন ◈ জাবালিয়া শরণার্থী শিবির গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল, ২৪ ঘন্টায় নিহত ৮৩ ◈ সারাদেশে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা ◈ স্কুলের টয়লেটে আটকা শিশু, ৬ ঘণ্টা পর বের হতে সক্ষম  ◈ পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিছুটা কমেছে, জনবল বাড়ানোর তাগিদ  ◈ কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দূতাবাসের ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিত : ০৭ মে, ২০২০, ১০:৪৪ দুপুর
আপডেট : ০৭ মে, ২০২০, ১০:৪৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শান্তিনিকেতন তৈরির প্রস্তাব শুনে রবীন্দ্রনাথের সামনেই হেসে ফেলেছিলেন মৃণালিনী

ডেস্ক রিপোর্ট : এখনও আমার মনে তোমার উজ্জ্বল উপস্থিতি। প্রত্যেক নিভৃত ক্ষণে মত্ততা ছড়ায় যথারীতি। কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের উচ্চারিত এই শব্দবন্ধ প্রত্যেক বাঙালির কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মনে করার গুরুমন্ত্র। সেই রবীন্দ্রনাথ…যিনি আমাদের মননে, চিন্তনে, যাপনে, জীবনচর্যায়। সেই রবীন্দ্রনাথ যিনি আজও বাঙালির সাহিত্য অভিভাবক। গ্রাম্য জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন গুরুদেব। গ্রামের মাটির কাছাকাছি থাকা মানুষগুলো বড় নিজের ছিল তাঁর। তাই তাঁদের আনন্দে হাসতেন তিনি, তাঁদের দুঃখে কাঁদতেন।

গ্রাম্য জীবনের অশিক্ষা ব্যথিত করত তাঁকে। শিক্ষাহীনতা এই দেশকে যে শেষ করে দিচ্ছে, তা মরমে উপলব্ধি করেছিলেন তিনি। তাঁর স্বপ্ন ছিল শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেশের উন্নতি সাধন। সেই লক্ষ্যেই শান্তি নিকেতনে স্কুল স্থাপনের ইচ্ছা ছিল তাঁর। লাল মাটির দেশ বীরভূমে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্রহ্ম সাধনার পীঠস্থানকে বেছে নিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। পথ চলা শুরু হয়েছিল এক ইতিহাসের, এক ঐতিহ্যের, এক ঘরাণার। যাত্রা শুরু করল শান্তিনিকেতন আশ্রম।

বাংলার শহরগুলোর ইঁট কাঠ পাথরের পাঁজরে যে প্রাণ নেই, তা আগেই বুঝেছিলেন কবিগুরু। তাই তো কলকাতা থেকে ১৫০ কিমি দূরে গড়ে তুলেছিলেন তাঁর স্বপ্নের শান্তিনিকেতন। তবে শান্তিনিকেতনে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভাবনায় বেশ হেসেছিলেন কবিগুরুর স্ত্রী মৃণালিনী দেবী। শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। রবীন্দ্রনাথের স্কুল তৈরির ভাবনা যে এভাবে হাস্যরসের খোরাক হবে, তা বোধহয় ভাবেননি গুরুদেব। খানিকটা বিস্মিত হয়েছিলেন তিনি।

পরে মৃণালিনী দেবী বলেছিলেন যে মানুষ নিজে কখনও স্কুলের গণ্ডী পেরোননি, যার চার দেয়ালে আবদ্ধ শিক্ষাকে ভুয়ো মনে হত, সেই রবীন্দ্রনাথ নিজে স্কুল খুলবেন। এই ভাবনাতেই হেসেছিলেন তিনি। স্ত্রীর এই আচরণে কিছুটা হতবাক রবীন্দ্রনাথ বুঝিয়ে বলেছিলেন নিজের ভাবনাকে। কবিগুরু বলেছিলেন শান্তিনিকেতন আর পাঁচটা বিদ্যালয়ের মত হবে না। সেখানে ছায়া সুনিবিড়, শান্তির নীড়ে চলবে পঠনপাঠন। খোলা আকাশের নীচে শিক্ষার্থীরা পাঠ নেবে প্রকৃতির।

বিদ্যালয়ে চার দেয়ালের কড়িকাঠে নিষ্প্রাণ শিক্ষায় তিনি কোনও দিনই বিশ্বাসী ছিলেন না, আজও নেই। নিজের কল্পনা ও দর্শন মিলিয়ে কবিগুরুর মননেই মূর্ত হয়ে ওঠে সেই শান্তিনিকেতন। এই শান্তিনিকেতন শহর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের হাতে গড়ে তুলে ছিলেন। তিনি এই জায়গাটিকে মূলত অতিথিশালা ও উপাসনার জায়গা হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।

সেই কল্পনাতেই রং দিয়ে এর কাজ শেষ করেন রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন তাঁর তৈরি বিদ্যালয়ে মন পাবে মুক্তি, থাকবে না গতানুগতিকতা, কোনও নিয়মের বেড়াজাল। সেই আদর্শ নিয়েই আজও পথ চলছে গুরুদেবের শান্তিনিকেতন।

সুত্র : কোলকাতা ২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়