ফাহমিদুল হক : করোনার সময়ে যে দুইটা সংগঠন সবচেয়ে ভালো কাজ করছিলো, তারা হলো বিদ্যানন্দ ও রাষ্ট্রচিন্তা। দুটোর ওপরেই আঘাত করা হলো। একটির তীরে সাম্প্রদায়িক বিষ, আরেকটিতে রাষ্ট্রক্ষমতার ছোবল। এই দুটি সংগঠনই দেখিয়ে দিয়েছে, মানুষকে সেবা দিতে খুব বেশি রিসোর্স লাগে না, সততা ও উদ্যোগ লাগে। অথচ আজদাহা এক অবকাঠামো ও নেটওয়ার্ক থাকার পরও রাষ্ট্রের গায়ে লেগে গেছে চালচুরির কলঙ্ক। স্বাস্থ্যসেবা দিতে ব্যর্থ হয়ে, মানুষের ‘হার্ড ইমিউনিটি’র ওপর ছেড়ে দিচ্ছে সবকিছু।
আচ্ছা, যারা সরকারে আছে, সেই দলের ছাত্র সংগঠনটা কোথায়? যাদের লক্ষ লক্ষ সদস্য দেশ কাঁপিয়ে-দাপিয়ে বেড়ায়, সারাক্ষণ নানান সংবাদের জন্ম দেয়, এই সঙ্কটকালে তাদের কোনো তৎপরতা-উদ্যোগের খবর কারো কাছে আছে? কেন কেবল বিদ্যানন্দ বা রাষ্ট্রচিন্তা বা অন্য কোনো ছোট সংগঠনকেই দেখা যাচ্ছে মানুষের পাশে? রাষ্ট্রচিন্তা বা বিদ্যানন্দের সাফল্য, পরোক্ষভাবে প্রমাণ করে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। এরকমও বলতে চায়, সংখ্যাগরিষ্ঠ ধার্মিক সম্প্রদায়, সঙ্কটকালে তোমার কোনোই এজেন্ডা/ইশতেহার নাই। তোমরা পারো কেবল অত্যাচার করতে, হিংসা করতে। এই রাষ্ট্রকে নিয়েই নতুন করে চিন্তা করতে বলে ‘রাষ্ট্রচিন্তা’। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :