রাজু আলাউদ্দিন: [২] মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিন স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে প্রয়োগ করেছে জার্মান ফার্মাসিটিউকাল কোম্পানি বায়োএনটেক। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অপর কোম্পানি পিজফারের সঙ্গে মিলে বায়োএনটেক এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
[৩] আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোকে বায়োএনটেক জানিয়েছে, ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত জার্মানিতে ১২ জন স্বেচ্ছাসেবীর দেহে বিএনটি ১৬২ নামের এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে। পরবর্তী ধাপে তারা বিএনটি ১৬২ নামের এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রায় ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর দেহে প্রয়োগ করা শুরু করবে। যাদের বয়স হবে ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রে এই ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের জন্য দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে শিগগিরই অনুমোদন পাওয়ার প্রত্যাশা করছে বলেও জানিয়েছে বায়োএনটেক।
[৪] কোভিড-১৯ এর এখনো কোনও নিরাপদ ও কার্যকরী ওষুধ বা প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা বিদ্যমান ওষুধ প্রয়োগ করে করোনা রোগীদের সুস্থ করা যায় কিনা তা নিয়ে গবেষণা অব্যাহত রেখেছে। এরকম বেশ কিছু ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হলেও কোনটাই এখনো নিরাপদে ব্যবহারযোগ্য কিংবা কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত হয়নি।
[৫] বিশ্বে করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য প্রায় একশ ভ্যাকসিন তৈরি ও পরীক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বায়োটেক কোম্পানি ও গবেষকরা। আর এসব ভ্যাকসিনের মধ্যে অন্তত পাঁচটি ভ্যাকসিন পরীক্ষা করে দেখার প্রথম ধাপ অর্থাৎ ‘ফেজ ওয়ান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ চালিয়েছে। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করে যুক্তরাজ্য।
[৬] যুক্তরাজ্যে জিএসকে এবং ফ্রান্সের সানোফি যৌথভাবে কোভিড-১৯ এর একটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছে। কোম্পানি দুটি জানিয়েছে, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে তারা এর ট্রায়াল চালাবে। এছাড়া ইতালির রেইথেরা, জার্মানির লিউকোকেয়ার ও বেলজিয়ামের ইউনিভার্সাল কোম্পানিও একই রকম ঘোষণা দিয়েছে। সময় টিভি