মাহমুদুল আলম : [২]যশোর জেনারেল হাসপাতালের এই ২৮ জনের মধ্যে ১১ জন নার্সও রয়েছেন। বুধবার (২৯শে এপ্রিল) হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের জারি করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
[৩] করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীদের সংস্পর্শে আসায় তাদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
[৪] এই ২৮ জনকে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নমুনা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই হাসপাতালের সব জনবলকে পরীক্ষার আওতায় আনা হবে বলেও জানানো হয়।
[৫] ডিবিসির এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপকুমার রায় এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ হবে ১৪ দিন। এই সময়ে তাদের সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
[৬] এদিকে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে নমুনা পরীক্ষার পর যে ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে চারজন যশোর সদর উপজেলার। এই চারজনই জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি। এদের মধ্যে রয়েছেন একজন চিকিৎসকের স্ত্রী (৩৫)। নাক, কান, গলার ওই চিকিৎসক আগেই করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। পরে তার স্ত্রীকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। যদিও এই নারীর শরীরে কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। আক্রান্তদের আরেকজন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিয়ন। শনাক্ত হওয়া অন্য দু'জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, যাদের একজন সাংবাদিক।
[৭]এই চার ব্যক্তির বাড়ি বুধবার দুপুরেই লকডাউন করেছে প্রশাসন।
আপনার মতামত লিখুন :