মাসুদ রানা : বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলো প্রধানত গ্রামীণ কৃষকদের লিল্লাহতেই চলে। তাই বাংলার কৃষকের ঘরে ধান এলে গ্রামে গ্রামে মাদ্রাসার ওস্তাদ-তালেবানের ভিড় ধানক্ষেতে উড়ে আসা সাদা বকের ঝাঁকের মতো মনে হয়। না না আমি বকধার্মিক মিন করিনি। কিন্তু কৃষকেরা আজ যখন ধান কাটাতে লোকসংকটে পড়েছে, তখন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা ধান কাটতে যাচ্ছে কেন? মাদ্রাসার ছাত্ররা কোথায়? কোথায় সেই হুজুরেরা? সুখের দিনে জান্নাতের টিকিট বেচতে ভিড় করলেও, দুঃখের দিনে তাদের টুপিটিও দেখা যাচ্ছে নাÑ যেমন অতীতেও যায়নি। আজ দেখছি ধান্য-কর্তন-দেশপ্রেম প্রদর্শনার্থে সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে সরকারি নেতারাও কাস্তে হাতে ধানের ক্ষেতে হাজির। ছবি দেখলে মনে হতে পারে তারা জমি দখল করতে এসেছেন বুঝি। না না জমি দখল নয়। এমনকি চুরিও নয়। সরকারি দলের লোকদের চাল চুরির বদঅভ্যাস থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে ধান চুরির অভিযোগ আছে কি? তাও আবার কাঁচা ধান?
দেখার মতো দৃশ্য হচ্ছে আওয়ামী নেত্রীদের কৃষকপ্রেম। তারাও এসেছেন কাস্তে হাতে কিষাণী সেজে। তবে পলাতক ইসলামী বুজুর্গদের জন্য স্বস্তির বিষয় হলো, এ নারীরা গ্রাম্য ও দরিদ্র কিষাণীদের মতো বেপর্দা ও অর্ধ-উলঙ্গ হয়ে ধান কাটতে আসেননি। তারা এসেছেন একেবারে পর্দানশীন হয়ে, হস্ত-পদ ঢেকে মাথায় ঘোমটা দিয়ে। আজ বাংলার কৃষককুলের সৌভাগ্যের যেন শেষ নেই। একটি সচিত্র সংবাদে দেখলাম পুলিশ অফিসারের মাথায় কৃষকের বোঝা। ২৮/০৪/২০২০, ল-ন, ইংল্যা-