শিমুল মাহমুদ: [২] গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ বলেছেন, আমরা বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) প্রটোকল জমা দিয়েছে। বিএমআরসি জানিয়েছে তারা সর্বত্র সহযোগিতা করবে।
[৩] তিনি বলেন, আমাদের আপত্তি হলো সিআরও নিয়ে। আমি ফরিআরের মাধমে যেতে রাজি না। আমি এ নীতিটার বিরোধীতা করছি। এটা তৃতীয় বিশ্বেও স্বাস্থ্য বিরোধী। আমরা এর অবসান চাই। এ মধ্যস্থভোগীদের কারণে আজকে আমার দেশের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের মূল্য পায় না।
[৪] ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা বেশি খুশি হবো। যদি দেশিও প্রতিষ্ঠান এ গবেষণার সাথে যুক্ত হয়। অন্যান্য দেশ যেখানে এর অনুমোদন দিচ্ছে কিন্তু আমার দেশের মানুষ সম্মানটা পাচ্ছে না।
[৫] বিএমআরসি’র পরিচালক ডা. মাহমুদ-উজ-জামান জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই প্রটোকল জমা দেওয়া হয়। এই প্রটোকল এখন রিভিউতে যাবে। এই রিভিউয়ের সময়ে যদি কোনো কোয়েরি থাকে তবে সেটি তারা ফুলফিল করবেন। এরপরে আমরা খুব দ্রুত এটি নিয়ে মিটিং করব।
[৬] তিনি বলেন, যেকোনো নতুন গবেষণা বা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠানকে গবেষণা বিষয়ে একটি প্রটোকল প্রস্তুত করে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)-এর ন্যাশনাল রিসার্চ এথিক্স কমিটিতে পাঠাতে হবে। সেখানে অনুমোদনের পরেই প্রটোকলটি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালস অ্যাডভাইসারি কমিটিতে যাবে। সেখান থেকে অনুমোদনের পরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে হবে, যা আইন অনুযায়ী হতে হবে, একটি থার্ড পার্টি বা কন্ট্র্যাক্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (সিআরও) মাধ্যমে। এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সব ধাপ সম্পন্ন হলেই কেবল চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে।