সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু : আমি ভাবছি অন্য কথা ‘বিধিসম্মতভাবে’, ‘বিধিসম্মত প্রক্রিয়ায়’ গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র তাদের উৎপাদিত কিট হস্তান্তর করেনি বলে আমরা সেটা গ্রহণ করলাম না। আমরা তীব্র সমালোচনার সাথে গণস্বাস্থ্যের বিজ্ঞানী বিজন শীল ও তার টিমের কিটের কার্যকা রিতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে ঊর্ধাকাশে টাঙিয়েও দিলাম। এ পর্যন্ত সবই ঠিক আছে, ‘বিধিসম্মত’ই আছে। কিন্তু চিন্তার কেইসটাতো অন্যখানে। আমরা বিজন শীলের কিট না নিলে কি হবে, আমেরিকার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি) এর প্রতিনিধিরা ঠিকই উপস্থিত ছিলেন এবং মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুসারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তাদের হাতে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র আবিষ্কৃত কিট হস্তান্তরও করা হয়েছে।
আমার ধারণা যদি সত্যি সত্যি মার্কিনিদের হাতে ওই কিট হস্তান্তর হয়েই থাকে তা হলে তা এতোক্ষণে হয়তো আমেরিকার পথে আছে। সিডিসি মার্কিন সরকারের স্বাস্থ্য, ওষুধ বিষয়ক দিকটার দেখভাল করে, খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। আমেরিকানরা বেকায়দায় আছে আর বুদ্ধিমান বলে করোনা কেইসে সমস্ত সম্ভাবনাকে যাচাই করবে, জলে ডুবতে থাকা মানুষ যেমন বাঁচার জন্য খড়কুটো আঁকড়ে ধরে, ঠিক তেমনি করে যাচাই করবে সারা দুনিয়ায় পাওয়া সব সম্ভাবনাকে। আমাদের মতো নাক সিঁটকাবে না। খোদা না করুক, বিজন শীলদের বানানো গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই কিট যদি আমেরিকার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় আর ভালো ফল দেয়তো দুনিয়াজুড়ে মহা হুল্লোর বেঁধে যাবে। তখন আমাদের পরশী দেশসহ অনেকেই এই কিটের জন্য লাইন দেবে। কী দেবে না? দেবে। ভাবুন একবার দৃশ্যটা। তখন আমাদের মুখটা, আমাদের ইজ্জত আব্রু কোথায় থাকবে, কোথায় থাকবে আমাদের ওষুধ প্রশাসনের বিধিবিধান। এখন উপায় একটাই আসুন সবাই মিলে দোয়া-দরুদ পড়ি, যাতে আমেরিকা বিজনশীলদের কিটকে তামাশার খেলনা বলে একেবারে ভূমধ্যসাগরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :