শাকুর মজিদ : ‘রামাদান কারীম’ লিখে ইনবক্সে যারা যারা সুদৃশ্য কার্ড পাঠিয়েছিলেন তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম এটার আসল মানে কী? কেউ আর জবাব দিচ্ছেন না। রোজার শুরুতে এমন পোশাকী নাম আগে তেমন শুনেছি বলে মনে করতে পারছি না। এখন নতুন নতুন নাম আসছে। সেহেরি খেয়ে অভ্যাস, এখন আর তা ‘সাহরী’ও না ‘সুহর’ হয়ে গেলো। আমাদের অঞ্চলে ইসলামী প্রতিশব্দগুলো মোগলদের হাত ধরে এসেছে ইরান থেকে। আরবি অনেক শব্দের ফার্সি অনুবাদেই আমরা নামাজ, রোজা, অজু, শবে বরাত, শবে ক্বদর এসব শব্দ পেয়েছি। সে শব্দগুলোই তো পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর আঞ্চলিক উচ্চারণে ইংরেজিতে লিখনের সময় ভিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে।
কথা হচ্ছে সে সব দেশ থেকে আসা শব্দগুলো আমরাও গ্রহণ করে ফেলি যখন আমাদের প্রচার মাধ্যমগুলো সেগুলোকে গ্রহণ করে এবং প্রচারও করে। তো ‘দোয়াদ’ আর ‘জোয়াদে’র ফনেটিক্যাল এক্সপ্রেশন নিয়ে দ্বিমত আছে, দোয়াল্লিন না জোয়াল্লিন তা নিয়েও বিভেদ আছে, এ কারণে ফার্সি শব্দ ‘রমজান’ ইংরেজি লেখনে ‘রমদান’ থেকে ‘রামাদান’ হয়েও যেতে পারে। মূল আরবি ‘সিয়াম’ নিয়ে কেউ কিছু বলছেন না, তাকে মূল নামে ডাকাও হচ্ছে না। আবার সেহরি হয়ে যাচ্ছে ‘সুহর’। এই শব্দগুলো না হয়ে উচ্চারণের কারণে পৃথিবীর নানা দেশে নানা রকম, কিন্তু আমাদের অঞ্চলে কি আমরা ঠিক থাকতে পারি না, যা আমাদের ছিলো? ফেসবুক থেকে