সমীরণ রায়ঃ [২] বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আরও বলেন, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আগের ৫০ লাখের সঙ্গে নতুন ৫০ লাখের নাম অন্তর্ভুক্তির যে সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, তা মাঠে মারা পড়তে যাচ্ছে। যাদের হাতে দায়িত্ব পড়েছে তারা ওই তালিকা নিজেরা পদ-পদবীর ভিত্তিতে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় একদিন-দুইদিনের মধ্যে তালিকা দেয়ার তাগাদার কারণে মনগড়া তালিকাও প্রদান করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যা ওই রেশন সামগ্রী আত্মসাতের পথ আরও প্রশস্ত করবে।
[৩] মেনন আরও বলেন, ‘রেশন কার্ডের এই তালিকা থেকে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবিরা বাদ পড়ে যাচ্ছেন। যেসব গার্মেন্টস শ্রমিক বা শ্রমজীবিদের ভোটার আইডি কার্ড গ্রামে বা অন্য অঞ্চলে তারাও এর থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছেন। এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ কাজে আসবে না অথবা স্বার্থবাজ ব্যক্তিদের স্বার্থসিদ্ধ করবে। এ কারণে ভোটার আইডি কার্ড প্রণয়নের মতো রেশন কার্ড প্রণয়নে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিলে তারা তাদের পূর্বতন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে রেশন কার্ড প্রণয়নের কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারবে বলে জানান ঢাকা-৮ আসনের এ সংসদ সদস্য।
[৪] তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যেভাবে চলছে তাতে সরকারকে দীর্ঘসময় এই সহায়তা বজায় রাখতে হবে। তাছাড়া গণবণ্টন ব্যবস্থার রেশনে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহে বহু পুরাতন দাবিও পূরণ হবে।
[৫] রোববার ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
[৬] ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় সাধারন সম্পাদক কিশোর রায়, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আমিনুল ইসলাম টিপু, তৌহিদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম ফজলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।