আসিফুজ্জামান পৃথিল : [৩] কাবা শরীফ চত্ত্বর সবচেয়ে ব্যস্ত সময় পার করে হজ মৌসুমে। কিন্তু অন্য সময়ে তাওয়াফ কখনই বন্ধ থাকে না। আর পবিত্র রমজান মাসে প্রায় হজের মতোই পরিস্থিতি তৈরি হয়। ডেইলি মেইল
[৪] শুধু তাওয়াফ নয় রমজানের পুরো মাসই সেহেরি ও ইফতারের সময় মুখরিত থাকে কাবা প্রাঙ্গণ। কিন্তু মুসলমানদের পবীত্র নগরী মক্কায় এখন কারফিউ চলছে। তাই ঘরে বসেই ইবাদত করছেন মুসলিমরা।
[৫] শুধু মক্কা নয়, প্রায় সব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশই এখন লকডাউনের আওতায়। সেহেরি নিয়ে উচ্ছাস নেই, ইফতারের বাজার বসছে না। নেই তারাবি নিয়ে হুল্লোরও। ইসলামী ইতিহাসবীদরা বলছেন, পৃথিবীর বুকে এতো ম্লান রমজান আগে কখনও আসেনি।
[৬] বিদেশীদের ওমরা বন্ধের পরেও স্থানীয়রা কাবা তাওয়াফ করতে পারতেন। কিন্তু রমজানের প্রথম দিইে তা বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
[৭] পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের বিখ্যাত ইফতার বাজার এ বছর বসেনি। একই অবস্থা দিল্লির চাঁদনি চকে। ঢাকার চক বাজারের প্রাণোচ্ছল ইফতার বাজারও এবার বসা সম্ভব নয়।
[৮] পাকিস্তানে সীমিত পরিসরে তারাবারি জামাত পড়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশে তাও নেই। ১২ জন অংশ নিতে পারবেন জামাতে। তারাও প্রায় সবাই মসজিদ সংশিষ্ট।
[৯] রমজানের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় ঈদের প্রস্তুতি। এবার তাও নেই। তুরস্কের গ্র্যান্ড বাজারের সব পোষাক আর মসলার দোকানগুলোও বন্ধ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :