ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট-পিপিই, মাস্ক পরে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মী সেজে বাসা-বাড়ীতে ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয় চিকিৎসকরাও হাসপাতালে যাওয়া-আসার পথে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। তবে যদি কেউ এমন ঘটনার সম্মুখীন হন তাহলে জরুরী সেবা দান কেন্দ্র ৯৯৯ এ ফোন করার পরামর্শ পুলিশ সদর দপ্তরের।
[৩] গত ১০ এপ্রিল মুন্সিগঞ্জ স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠ পাড়া এলাকার এই বাসায় সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই ও মাস্ক পরে এক দল ডাকাত আসে। এর আগে ২৫ শে মার্চ আরেক দফা একই বাসায় আসে ডাকাত দল। খোয়া যায় মুল্যবান সামগ্রী।
[৪] ভুক্তভোগী বাসার মালিক সানজিদা খান বলেন, শেষবার যখন কিছু মালামাল তারা নিয়ে গেছে। তার কিছুদিন পরে আবার এসেছিলো। বাসার যে সিসিক্যামেরা যেগুলো ছিলো সবগুলো খুলে নিয়েছে।
[৫] চলতি মাসের শুরুতে রাজধানীর এক হাসপাতালে ডিউটি করে ফিরছিলেন এক চিকিৎসক। পথরোধ করে দিনে দুপুরে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। ছিনতাই এর শিকার চিকিৎসক বলেন, আমি একটি প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসক। আমি হাসপাতালে ডিউটি শেষ করার পরে বাসায় আসছিলাম। মিরপুরের একটা নির্জন রাস্তা দিয়ে আসছিলাম। আমাকে চাকু দেখিয়ে মোবাইল, মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা নিয়ে গেছে।
[৬] গত সপ্তাহে নাইট ডিউটি শেষে বোরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে শেওড়াপাড়ার বাসায় ফিরছিলেন এক নার্স। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের পেছনে বিশাল খোলা জায়গার পাশে একটি প্রাইভেটকার তাকে ফলো করছিলো। এক পর্যায়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পেচরে রাস্তায় গেলেই তার কাছ থেকে টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন ও মুল্যবান সামগ্রী নিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এসময় তিনি চিৎকার দিলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। অবশ্য ওই রাস্তার আশপাশে কোনো বাসা-বাড়ি নেই।
[৭] পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, বর্তমান সংকট পরিস্থিতিতে অপরাধীরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করছে। কেউ কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার সম্মুখীন হলে ৯৯৯ এ কল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
[৮] পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি সোহেল রানা বলেন, পুলিশ, চিকিৎসক বা আইন-শৃলা বাহিনী পরিচয় দেয় তাহলে সে কাজ সর্ম্পকে জানেন এবং কোন কাজে এসেছেন সেটা জানুন। নির্জন রাস্তা থাকায় অপরাধীরা খুব সহজেই ডাকাতি-ছিনতাই করতে পারে। তাই এটিএম বুথ ও ফার্মেসিতে যারা আসবেন তাদের বিশেষ সতর্কতার সাথে চলাফেরার আহ্বান জানান তিনি।