শিরোনাম
◈ যে কারণে পিআর পদ্ধতি চায় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ◈ ‘মেগাস্টার’ শব্দকাণ্ডে বিতর্ক: “আমি মানুষটা ছোট, অন্যকে ছোট করব কীভাবে” — জাহিদ হাসান ◈ এবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিল্পকলার চারুকলা পরিচালক ◈ কেশবপুর পৌরসভার  সাবেক মেয়র রফিকুল গ্রেফতার ◈ বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ ডার্পা প্রযুক্তি : যেভাবে তারবিহীন বিদ্যুৎ আবিষ্কার করে অবাক করলো বিশ্বকে (ভিডিও) ◈ নির্বাচন নিয়ে আবার সন্দেহ, অনিশ্চয়তার কথা কেন আসছে? ◈ মর‌ক্কোর স‌ঙ্গে প্রী‌তি ম্যাচ খেল‌তে চায় বাংলাদেশ, ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রস্তাব ◈ অ‌ক্টোব‌রে বিপিএলের ড্রাফট, নতুন করে চার ভেন্যুর অডিট হবে 

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভয়ে কাঁপলে করোনা চলে যাবে?

মাসুদ কামাল : কোভিড-১৯ ভয়ে কাঁপলে করোনা চলে যাবে? করোনা উপলক্ষে অথবা বলা যায় করোনা থেকে বাঁচতে, সরকার আবার ছুটি বাড়িয়েছে। এবার নিয়ে তিন দফা ছুটি পেলো জনগণ। ছুটি এখন ৫ মে পর্যন্ত। এরপর যে আর বাড়বে না, সেটাও কিন্তু নিশ্চিত করে এখনই কেউ বলতে পারবে না। ঠিক এই জায়গাটিতেই সমস্যা। কেউ বলতে পারছেন না কতোদিন চলবে এই করোনাভীতি। অন্য অনেক দেশের মতো আমদের সরকার অবশ্য লকডাউন ঘোষণা করেনি। তারা বলছে ছুটি। তার পাশাপাশি অবশ্য বলে দিয়েছে কী কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞার তালিকাটি একেবার ছোট নয়। সে সব অনুসরণ করলে জীবনযাপন যা দাঁড়ায়, তাকে প্রকারান্তরে লকডাউনই বলা যায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছেÑ লকডাউন বলুন কিংবা ছুটিই বলুন, এটা চলবে কতোদিন? মানুষ এ প্রশ্ন করতেই পারে। ঘরে যে আমি থাকবো, কতোদিনের প্রস্তুতি নিয়ে থাকবো? সবাই তো আর সরকারি চাকরি করে না, ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে সিংহভাগ মানুষকেই জীবিকার জন্য মাঠে নামতে হয়। এর মধ্যে ঘরে থাকার একমাস হয়ে গেছে। শুরুতে এই মানুষগুলো কতোদিনের প্রস্তুতি নিয়ে ঘরে ঢুকেছিলেন? ১৫ দিন, ২০ দিন নাকি এক মাসের? অন্য সব না হয় বাদ থাক, যদি কেবল খাদ্যদ্রব্যের কথাই বলি, সেটাইবা কতোদিনের সংরক্ষণের ক্ষমতা আছে আমাদের বেশিরভাগ মানুষের? গ্রামে ‘মুষ্ঠিচাল’ বলে একটা কথা আছে। প্রতিদিন রান্নার সময় একমুঠ করে চাল তুলে রাখা হয় বিপদের সময়ের কথা ভেবে। মুষ্ঠিচালে কতোদিন চলে? দুদিন, চারদিন, বড়জোর সাতদিন। এর চেয়ে বেশি হলে কী করণীয়? ধারদেনা যে করবে, যার কাছে চাইবে, তারও তো একই অবস্থা। তাছাড়া ধার করতে গেলেও কিন্তু পরিশোধের একটা সময়সীমার কথা উল্লেখ করতে হয়। কিন্তু যে মানুষ জানেই না কতোদিন তাকে ঘরে বন্দি থাকতে হবে, সে ধার পরিশোধের সময়ের কথাইবা কীভাবে জানাবে? বিষয়টি নিয়ে নীতি নির্ধারকদের ভাবতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশই ভাবছে। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের অনেকে বলছেন হার্ড (যবৎফ) ইমিউনিটির কথা। তাদের মতে করোনার ভয়ে ঘরে বসে থাকলে কোনো সমাধান আসবে না। একমাস, দুমাস বা তিনমাস পর যখনই লকডাউন তুলে নেওয়া হবে, তখন কী করোনা থাকবে না? বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে মানুষ যখন হুড়মুড় করে বের হবে, করোনা কী তাকে আক্রমণ করবে না? তাই ওই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভয় নয়, করোনাকে মোকাবেলা করতে হবে। লকডাউন ধীরে ধীরে তুলে নিতে হবে। যাদের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, সেই তরুণদের আগে ঘর থেকে বের করতে হবে। বয়স্করা বের হবেন পরে, পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন হলে। আসলে এটা একটা বিকল্প চিন্তা মাত্র। এমনই যে করতে হবে, সে রকম কোনো প্রতিজ্ঞা নেই। অনুরোধ একটাইÑ ভিন্ন ভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করুন, বিকল্প কিছু একটা বের করার চেষ্টা করুন। বসে থাকলে কিছু হবে না, ভয়ে কাঁপাকাঁপি করলেও করোনার হাত থেকে মুক্তি মিলবে না। দেশে জ্ঞানী লোকের অভাব আছেÑ এমনটা আমি মনে করি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসুন, তাদের কথা শুনুন, বুঝুন, তারপর সিদ্ধান্ত নিন। অনির্দিষ্ট সময়ের গৃহবন্দিত্ব বড়ই বেদনাদায়ক। লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়