শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ০৫:২৮ সকাল
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ০৫:২৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৩০ ঘণ্টা করোনা আক্রান্ত বাবার পাশে টেলিফোনে সন্তানরা

মহসীন কবির : [২]  করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাবা ডন অ্যাডায়ারকে দেখতে হাসপাতালে যেতে পারেননি অ্যাবি অ্যাডায়ার রেইনহার্ড। করোনায় আক্রান্ত প্রিয়জনদের শেষ সময়ে অনেকের মতো তারাও তাদের বাবার পাশে থাকতে না পারলেও মৃত্যুর আগে বাবার সঙ্গে প্রাণ খুলে ফোনে কথা বলতে পেরেছে। দ্যা সান ও ডিবিসি টিভি

[৩] নিউইয়র্কের বাসিন্দা ডন অ্যাডায়ার করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যাবার আগেও তার কোন ছেলেমেয়ে তার পাশে থাকতে পারেনি। তার অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের এক নার্স কথা বলার সুযোগ করে দিতে ডন অ্যাডায়ারের পাশে হাসপাতালের ফোনটি রেখে দেন। এতে ডন তার ছেলেমেয়ের সঙ্গে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কথা বলার সুযোগ পান। আর ছেলেমেয়েরাও বাবার সঙ্গে কথা বলতে ফোনের অন্য প্রান্তে টানা ৩০ ঘন্টা বসে থাকেন। আর এভাবেই পাশে না থাকার কষ্টের মাঝে একটু হলেও স্বান্তনা খুঁজেছে স্বজনরা।

[৪] ডনের মেয়ে অ্যাডায়ার রেইনহার্ড বলেন, 'এটা বিশাল এক আশীর্বাদ ছিল। যদিও আমি বাবাকে দেখতে পারিনি। তার হাত ধরেও বসে থাকতে পারিনি। কিন্তু বাবাকে আমি যা বলতে চাইছিলাম তা বলতে পেরেছি।' তিনি জানান, ফোনে এতটা সময় বাবার সঙ্গে থাকাটাই তার জীবনের মূল্যবান মুহূর্ত হয়ে উঠেছে। তারা তিন ভাইবোন ডেনমার্ক, টেক্সাস এবং উত্তর ক্যারোলাইনা থেকে ফোনে নিউইয়র্কের হাসপাতালে থাকা বাবার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন।

[৫] অ্যাডায়ার রেইনহার্ড আরও বলেন, ফোনে কথা বলার সময় তারা বাবার সঙ্গে তাদের সকল স্মৃতি চারণ করেছিলেন। বাবার জন্য গান গেয়েছিলেন। বাবাকে তারা কতটা ভালবাসেন সেটা বলেছিলেন। রেইনহার্ড বলেন, ‘বাবার বয়স ৭৬ বছর হয়েছিল। তিনি ফোনে কথা বলতে পারছিলেন না। কিন্তু আমরা তার নিঃশ্বাসের শব্দ শুনছিলাম। তিনি আরও বলেন, ‘বাবা কতটা কষ্ট পাচ্ছেন আমরা বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু তারপরও তার নিঃশ্বাসের শব্দ আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছিল তিনি তখনও বেঁচে আছেন।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়