শিরোনাম
◈ কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল খুলনা, প্রেস সচিবকে ঘিরে আন্দোলনকারীদের অবস্থান ◈ বিষাক্ত কীটনাশক বন্ধে প্রয়োজনে রাস্তায় নামবো: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ◈ টাঙ্গাইল যৌনপল্লীতে অগ্নিকাণ্ড, ১২টি ঘর পুড়ে ছাই ◈ কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা হরগবিন্দ বিশ্বাস গ্রেপ্তার ◈ শিগগিরই হতে পারে রোডম্যাপ ঘোষণা, প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি ◈ চট্টগ্রামে সরবরাহ বাড়লেও স্বস্তি মেলেনি সবজির বাজারে, বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম ◈ মধুপুরের জঙ্গলে গভীর রাতে ঘোড়ার মাংস প্রক্রিয়াকরণ, একজন আটক ◈ শিক্ষা কর্মকর্তার অবহেলায় সুবর্ণচরে ৫৪টি বিদ্যালয়ের বরাদ্দ ফেরত ◈  শেরপুরে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে নবজাতক কন্যা শিশু চুরির ঘটনায় তোলপাড়  ◈ আওয়ামী লীগ ছেড়ে ইসলামী আন্দোলনে ঝিনাইদহের আলম বিশ্বাস

প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ০৫:২৮ সকাল
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ০৫:২৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৩০ ঘণ্টা করোনা আক্রান্ত বাবার পাশে টেলিফোনে সন্তানরা

মহসীন কবির : [২]  করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাবা ডন অ্যাডায়ারকে দেখতে হাসপাতালে যেতে পারেননি অ্যাবি অ্যাডায়ার রেইনহার্ড। করোনায় আক্রান্ত প্রিয়জনদের শেষ সময়ে অনেকের মতো তারাও তাদের বাবার পাশে থাকতে না পারলেও মৃত্যুর আগে বাবার সঙ্গে প্রাণ খুলে ফোনে কথা বলতে পেরেছে। দ্যা সান ও ডিবিসি টিভি

[৩] নিউইয়র্কের বাসিন্দা ডন অ্যাডায়ার করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যাবার আগেও তার কোন ছেলেমেয়ে তার পাশে থাকতে পারেনি। তার অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের এক নার্স কথা বলার সুযোগ করে দিতে ডন অ্যাডায়ারের পাশে হাসপাতালের ফোনটি রেখে দেন। এতে ডন তার ছেলেমেয়ের সঙ্গে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কথা বলার সুযোগ পান। আর ছেলেমেয়েরাও বাবার সঙ্গে কথা বলতে ফোনের অন্য প্রান্তে টানা ৩০ ঘন্টা বসে থাকেন। আর এভাবেই পাশে না থাকার কষ্টের মাঝে একটু হলেও স্বান্তনা খুঁজেছে স্বজনরা।

[৪] ডনের মেয়ে অ্যাডায়ার রেইনহার্ড বলেন, 'এটা বিশাল এক আশীর্বাদ ছিল। যদিও আমি বাবাকে দেখতে পারিনি। তার হাত ধরেও বসে থাকতে পারিনি। কিন্তু বাবাকে আমি যা বলতে চাইছিলাম তা বলতে পেরেছি।' তিনি জানান, ফোনে এতটা সময় বাবার সঙ্গে থাকাটাই তার জীবনের মূল্যবান মুহূর্ত হয়ে উঠেছে। তারা তিন ভাইবোন ডেনমার্ক, টেক্সাস এবং উত্তর ক্যারোলাইনা থেকে ফোনে নিউইয়র্কের হাসপাতালে থাকা বাবার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন।

[৫] অ্যাডায়ার রেইনহার্ড আরও বলেন, ফোনে কথা বলার সময় তারা বাবার সঙ্গে তাদের সকল স্মৃতি চারণ করেছিলেন। বাবার জন্য গান গেয়েছিলেন। বাবাকে তারা কতটা ভালবাসেন সেটা বলেছিলেন। রেইনহার্ড বলেন, ‘বাবার বয়স ৭৬ বছর হয়েছিল। তিনি ফোনে কথা বলতে পারছিলেন না। কিন্তু আমরা তার নিঃশ্বাসের শব্দ শুনছিলাম। তিনি আরও বলেন, ‘বাবা কতটা কষ্ট পাচ্ছেন আমরা বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু তারপরও তার নিঃশ্বাসের শব্দ আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছিল তিনি তখনও বেঁচে আছেন।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়