তরিকুল ইসলাম : [২] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ আমাদের প্রতিবেদককে এমনটাই জানিয়ে বলেন, পুষ্টিকর খাবার খেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেও করোনা যুদ্ধে আপনিও জয়ী হতে পারেন।
৩ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাঁচা আম, লেবু, বরই, আমলকি, কলা, কাঁচা মরিচ, পেঁপে খেতে হবে।
৪ এসব খাবার শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল এর বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবানু সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।
৫ মাছ, মাংস, ডিম উচ্চ-প্রোটিনযুক্ত খবার গ্রহণের মাধ্যমে কোষ, টিস্যু দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে এবং নতুন কোষ, টিস্যু তৈরী হয়।
৬ মাছ, মাংস অপর্যাপ্ত থাকলে ডাল দিয়ে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে হবে।
৭ দুধে প্রো-বায়োটিক, ভিটামিন ডি, ইমিউনোগ্লোবিউলিন থাকে।
৮ টক দই শ্বাসযন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্র সম্বন্ধীয় সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৯ সীমের বীচি, কুমড়ার বীচি, চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, কাঠ বাদাম, কাজুবাদাম, কাঠালের বীচিতে ভিটামিন বি৬ ও জিংক রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির কোষসংখ্যা বৃদ্ধি করে।
১০ লাল-চা ও সবুজ-চা এ এলথেনিন এবং ইজিসিজি (ক্যাটেচিন) নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
১১ দারচিনি, এলাচ, কালোজিরা, আদা, রসুন, পিয়াজ, তেজপাতা কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
১২ প্রতিদিন ২/৩ লিটার পানি, ডাবের পানি এবং স্যুপ পান করতে হবে।
১৩ বেশি রাত না জেগে প্রতিদিন ৮/৯ ঘন্টা করে পর্যাপ্ত ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
১৪ প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
১৫ প্রতিদিন ১ চা-চামচ মধু পান করুন।
১৬ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ সুসিদ্ধ করে খেতে হবে।
১৭ শাকসবজি ডিটারজেন্ট/সাবান দিয়ে ধোঁওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। প্রবাহমান পানিতে শাকসবজি ধৌত করলেই চলবে।
১৮ দৈনিক সকাল ১০ টা-দুপুর ২ টা পর্যন্ত অন্তত ১৫ মিনিট রোদে বসুন।
১৯ নিয়মিত ও যথা সময়ে খাবার গ্রহণের ব্যাপারে নজর রাখতে হবে।