আরিফ হোসেন: [২] কোভিড-১৯ সংক্রমণের এক মাসের বেশি সময় পার করছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে রাজধানীতে। তবে রাজধানীর বাইরেও সংক্রমণ বেশ উদ্বেগজনক। নিউজ ২৪
[৩] দ্রুত ছড়ানোয় সক্ষম এই ভাইরাসের চিকিৎসা সুবিধা রাজধানীর তুলনায় বিভাগীয় পর্যায়ে বেশ নাজুক বলা চলে।
[৪] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা বলেন, করোনা আক্রান্ত মাত্র ২০ শতাংশ রোগীর হাসপাতালের চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে ১৫ শতাংশের ভেন্টিলেশন সুবিধা আর ৫ শতাংশের জন্য প্রয়োজন হয় নিবিড় পরিচর্যা।
[৫] শ্বাসতন্ত্রের এই রোগ থেকে রোগী বাঁচাতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ভেন্টিলেটর ও আইসিইউ। রাজধানীর বাইরে সারা দেশে ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ সুবিধা রয়েছে ৯৯টি। এর মধ্যে এখনো স্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে সিলেটে ৯টি।
[৬] চট্টগ্রামে বিভাগে আইসিইউ সুবিধা রয়েছে ১৩টি ও কক্সবাজারে ১টি। পুরো বিভাগে জেলা ও উপজেলায় আইসোলেশন বেড রয়েছে ১৬শ ৩৭টি।
[৭] খুলনা বিভাগে আইসিইউ সুবিধার মধ্যে খুলনায় ১০টি ও সাতক্ষীরায় ৮টি রয়েছে। এছাড়া বিভাগে আইসোলেশন বেড রয়েছে ১১শ ৩৭টি।
[৮] সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন মেডিকেলে বর্তমানে ২টি আইসিইউ রয়েছে। এছাড়া আরো ৯টি স্থাপনের অপেক্ষায়। এছাড়া সিলেট বিভাগে আইসোলেশন বেড আছে ৬শ ৩৭টি।
[৯] রংপুর বিভাগে আইসিইউ আছে ১০টি। জেলা ও উপজেলায় মোট আইসোলেশন আছে ৩শ ১০টি।
[১০] বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ রয়েছে ১৮ টি। বিভাগের বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলায় আইসোলেশন বেড রয়েছে ১৬৩টি।
[১১] রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ রয়েছে ১০টি। এছাড়া বেসরকারি সিডিএম হাসপাতালে রয়েছে ৬টি আইসিইউ। বিভাগে আইসোলেশন বেড রয়েছে ১৫শ ৯০ টি।
[১২] ময়মনসিংহের এ. কে হাসপাতালে ৭টি ও কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে ৫টি আইসিইউ। এছাড়া বিভাগে আইসোলেশন বেড আছে ১৪শ ৪৫টি।
[১৩] এর বাইরে সব জেলায় ডাক্তার ও নার্সদের সমন্বয়ে একাধিক মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা।