ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] দেশের নৌ পথের লাখ লাখ মাঝি ও শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছেন। সদরঘাটের মাঝিসহ নৌকায় চলাচলকারীরা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন। মাঝিরা করোনা সংক্রমনের ঝুঁকির বিষয়ে জানার পরও পেটের দায়ে নৌকা চালাচ্ছেন।
[৩] এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় পরিবহন বন্ধ রাখায় কর্মহীন ২০ লাখ নৌ শ্রমিকের পাশে দাঁড়াতে মালিক-শ্রমিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
[৪] সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দেশের নৌ সেক্টরে সঠিক বেতন কাঠামো কার্যকর না থাকায় প্রায় ৯৮ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক দৈনিক মজুরি বা ট্রিপ ভিত্তিক চাকরি করে। এজন্য তারা দৈনিক শ্রমিকের মতো দিন আনে দিনে খায় অবস্থা। গত ২৬ মার্চ দেশে পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ২০ লাখ নৌ পরিবহন শ্রমিক স্ত্রী-সন্তন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
[৫] অপরদিকে সদরঘাট, ওয়াইজঘাট, বাদামতলীর ঘাট, শ্যামবাজার, সোয়ারিঘাট, খোঁলামোড়াসহ বিভিন্ন ঘাটে প্রায় দুই হাজার মাঝি নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। জীবিকার তাগিদে ভোরের আলো জেগে ওঠার আগেই মাঝিরা বুড়িগঙ্গার বুকে ভাসিয়ে দেন তাদের নৌকা।
[৬] সদরঘাট নৌকামাঝি শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইন্তাজুল হক মিন্টু জানান, এসব নৌকার মাঝিদের অধিকাংশই বরিশাল, পটুয়াখালি ও ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই তারা নৌকা চালিয়ে জীবন ধারণ করছেন। তাদের আদি ঠিকানা গ্রামে হলেও অধিকাংশের জন্ম ঢাকায়। মরণব্যধি করোনার সংক্রমণে লকডাউনে তারা সরকারি বা কোন সংস্থা সংগঠনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছে না। তবে সদরঘাটের যুগ্ম পরিচালক আরিফ হোসেন ব্যক্তি উদ্যোগে সম্প্রতি কিছু মাঝির কাছে ত্রাণের সহযোগিতা করেছেন বলে জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :