জাকির তালুকদার : লকডাউন কোনো নিরাময় নয়। কোনো চিকিৎসা পদ্ধতিও নয়। রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা কমে লকডাউন বা আইসোলেশনের মাধ্যমে। প্রাগৈতিহাসিককাল থেকে মানুষ অচেনা রোগে আক্রান্ত হলে এই পদ্ধতি গ্রহণ করে আসছে। তখন তারা ওই রোগের সম্ভাব্য উৎপত্তিস্থল এড়িয়ে চলতো। আধুনিক বিশ্বে নতুন মহামারির আশঙ্কা দেখা দিলে রোগীদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় জনজীবন থেকে। সেটি আইসোলেশন। কিন্তু লকডাউনে সুস্থ ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন করা হয় বাইরের পৃথিবী থেকে। লকডাউন দীর্ঘকালীন কোনো ব্যবস্থা হতে পারে না। লকডাউনের সময়টিকে কাজে লাগানো হয় রোগের সোর্স খুঁজে বের করার জন্য, ওষুধ এবং ভ্যাকসিন তৈরির জন্য, রোগের বিস্তার ঠিক কোন প্যাটার্নে ঘটছে তা দেখে বিস্তার রোধের পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যেসব ত্রুটি আছে সেগুলো দূর করার জন্য।
আমাদের লকডাউনের সময় উপরোক্ত বিষয়গুলোর কোন্ অগ্রগতিটা হয়েছে? আদৌ কি হয়েছে? শ্বেতহস্তীর মতো বিশাল এক আমলাতন্ত্র চেপে বসে আছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মাথায়। কতো পদ যে আছে। তারা সবাই মিলে এই লকডাউনের সময়টিতে কী করেছে? মহান বিশেষজ্ঞরা করোনা বিস্তারের প্যাটার্নটা পর্যন্ত নির্ধারণ করতে পারেননি। দরকারও মনে করেননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যে প্রেসক্রিপশন আসবে, সেটাই গড়গড় করে পড়ে শোনাবেন দেশবাসীকে। উচ্চতর ডিগ্রি তারাও অর্জন করেছেন বটে। কিন্তু শিক্ষা কাজে লাগানোর অবকাশ পাননি। চেয়ার রক্ষা, উঁচু চেয়ারে বসার পন্থা একটাই। তৈলমর্দন, দলীয় সংযোগ আর চুরির টাকার অংশ প্রদান। মেধাবীরা আড়ালে পড়ে থাকেন। কারণ তারা হুজুর হুজুর করেন না। তাই লকডাউন হয়ে থাকে কেবলমাত্র মানুষের বাইরে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা। ফেসবুক থেকে