মুসা আহমেদ: [২] যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে করোনার কারণে কয়েক মিলিয়ন কর্মী বেকারভাতার দাবি করলেও গত এক মাসে তালিকায় যুক্ত হয়েছে মোট ২০ মিলিয়ন কর্মী। এ ঘটনা দেশটির অর্থনৈতিক চরম মন্দাকে নির্দেশ করে। রয়টার্স
[৩] বৃহস্পতিবার শ্রমিক সংঘ থেকে বেকারদের নিয়ে করা সাপ্তাহিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, খুচরা বাজারে চলছে ব্যাপক মন্দা। এ বছরের মার্চে রেকর্ড পরিমাণ কমেছে খুচরা বিক্রয়। ১৯৪৬ সালের পর চলতি বছরের মত এমন অর্থনৈতিক পতন ঘটেনি এর আগে।
[৪] সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, করোনার কারণ ধসে পড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধার নিয়ে ভাবা হচ্ছে। আধারের পর যেমন আলো আসে, তেমনি অর্থনৈতিক মহামন্দার পর আবার সুদিন ফিরে আসবে। এ সপ্তাহসহ মে মাস পর্যন্ত কর্মহীনদের দাবিগুলোর মধ্যে আরো অতিরিক্ত ২০মিলিয়ন যুক্ত করার পরিকল্পনা করছি।
[৪] করোনায় অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়বে সেটা আগেই ধারণা করেছিলো অর্থনীতিবিদরা। তাদের ভাষ্য, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে যে ধস হয়েছে তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয় বড় ধস।
[৫] পেনসিলভেনিয়ার অর্থনীতি বিশ্লেষক সংস্থা ন্যারোফ একোনোমিক্সের প্রধান অর্থনীতিবিদ জোয়েল ন্যারফ বলেন, করোনার কারণে ধসে পড়া অর্থনীতি এখন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় দাঁড়িয়েছে।
[৬] এ বিষয়ে নিউইয়র্কের গোল্ডম্যান স্যাচের প্রধান অর্থনীতিবিদ জোসেফ বিগ্রস বলেন, করোনায় ডাকা লকডাউনে অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করেছে। যেহেতু আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশ কর্মহীনদের বিষয়টি মিমাংসা করতে চেষ্টা চালাচ্ছে, সে কারণে আশা রাখছি, সামনের সপ্তাহে দাবিগুলো আরো জোরদার হবে।