শিরোনাম
◈ ১৫৬ উপজেলায় ভোট আজ ◈ সংসদ সদস্য আজিমের অবস্থান জেনেছে ভারত পুলিশ ◈ বিধ্বস্ত হওয়ার আগে হেলিকপ্টারে কী করছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে ‘শেষ’ ভিডিও ◈ সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল, প্লেন চলাচলে বিঘ্ন ◈ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও হামাস প্রধানের বিরুদ্ধে আইসিসিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন ◈ নিরপরাধ মানুষরাই সরকারি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন: মির্জা ফখরুল ◈ নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হওয়ায় দুই ওসিকে প্রত্যাহার করলো ইসি  ◈ ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক ◈ ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর শোক ◈ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ০২:২৮ রাত
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ০২:২৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সারাদেশে কর্মহীন নিম্নআয়ের মানুষ পাবে ওএমএসে ১০ টাকা কেজিতে চাল

আনিস তপন : [২] বুধবার সন্ধায় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে এমন তথ্য জানান, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ। বলেন, করোনা প্রদুর্ভাবের মত মহামারীর এই দুর্যোগে নিম্নবিত্ত, কর্মহীন মানুষের খাদ্য সহায়তায় সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রম এখন চলছে।

[৩] করোনা ভাইরাসের সংকটের এই মূহুর্তে সরকারের খাদ্য সহায়তা বিতরণে শুধু মাত্র শৃংখলা ফেরাতে এবং যারা এখনও এই সুবিধা পায়নি তাদের সহায়তা নিশ্চিত করতে কয়েক দিনের জন্য ওএমএস’এর মাধ্যমে ১০ টাকায় চাল বিক্রি স্থগিত করা হয়েছে। তবে ওএমএস এর মাধ্যমে ১৮ টাকায় আটা বিক্রি বন্ধ করা হয়নি।

[৪] এছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে খাদ্য অধিদপ্তর, সুবিধা বঞ্চিত ও অভাবি মানুষকে খাদ্য সহায়তার লক্ষ্যে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের আওতায় কার্ডধারি গরীব মানুষকে বছরে পাঁচ মাস খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়। এতে একজন কার্ডধারী ১০ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল কিনতে পারে। আমন মৌসুমের আগে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর তিন মাস ও বোরো মৌসুমের আগে মার্চ এবং এপ্রিলে এই সুবিধা পেয়ে থাকেন কার্ডধারীরা।

[৫] এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, শহুরে অঞ্চলের ছিন্নমূল, কর্মহীন অসহায় মানুষকে ওএমএস এর মাধ্যমে ১০ টাকা দরে চালের সুবিধা দিতে এরই মধ্যে সারা দেশের স্থানীয় প্রশাসনকে কার্ড তৈরীর জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন নিজে অথবা পুলিশ বা জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে এই কার্ড তৈরীর কার্যক্রম শুরু করতে পারেন।

[৬] এক প্রশ্নের জবাবে সারোয়ার মাহমুদ বলেন, এই মূহুর্তে সরকারের অনেকগুলো খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি রয়েছে। যেমন, খাদ্য অধিদপ্তর খাদ্য বান্ধব, ওএমএস কর্মসূচির মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে চাল, আটা বিক্রি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আবার দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জিআর (খয়রাতি খাদ্য সহায়তা), টিআর, কাবিখাসহ কয়েকটি কর্মসূচি বাস্তায়ন করছে। সমস্য যেটা তা হলো, সবগুলো কর্মসূচির খাদ্য প্যাকেট করা হয় খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে। যাতে খাদ্য অধিদপ্তরের সীল থাকে। একারণে মুসকিল কোন খাদ্য কোন কর্মসূচির অধীনে। এর বাইরেও পুলিশ বা বিভিন্ন বাহিনীকে যে খাদ্য সরবরাহ করা হয় তাতেও খাদ্য অধিদপ্তরের সীল থাকে।

[৭] এখন, সরকারের নিষেধ আছে খাদ্য বান্ধবের চাল বাজারে বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু কোনো বাহিনীর সদস্যরা যদি মনে করেন বা কোনো পুলিশ সদস্য যদি মনে করেন রেশনে পাওয়া চাল খাবে না, তবে তিনি তা বাজারে বিক্রি করেন অনেক সময়। আবার কাবিখার চাল খোলা বাজারে বিক্রির নজির আছে। আগে সরকারি এসব চাল খোলা বাজারে বিক্রির বিষয়ে খুব একটা নজরদারি না থাকলেও এখন যেহেতু ক্রাইসিস পিরিয়ড আর সরকারেরও কড়া নজরদারি রয়েছে তাই বিষয়গুলো এখন প্রকাশ্যে আসছে।

[৮] এক্ষেত্রে অবৈধ এসব ব্যবসা বন্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে এমন দুর্নীতির কারণে কয়েকজনের ডিলারশীপ বাতিল করা হয়েছে। কয়েকজনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলাও দেয়া হয়েছে।

[৯] সরকার বিশ্বব্যাপী এই মহাদুর্যোগের মূহুর্তে প্রতিটি অসহায় মানুষকে সহায়তা দিতে চাইছে। প্রতিটি মানুষকে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই মূহুর্তে যদি এমন অন্যায় কার্যক্রম চলে তবে তা কঠোর হস্তে দমন করবে।

[১০] সরকারি বিধি-বিধান মেনে প্রশাসনিক নির্দেশনা অনুযায়ী সব নিরন্ন, অসহায় মানুষের খাদ্য নিশ্চিতে কাজ করছে। অধিদপ্তেরের নিজস্ব জনবল কম হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে গ্রাম পর্যন্ত মিনটরিং জোরদার করেছে। এজন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধিসহ সশস্ত্র বাহিনীকেও মনিটরিং জোড়দার করতে চিঠি পাঠিয়েছে।

[১১] এছাড়াও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির অধীনে দরিদ্র মানুষের জন্য কার্ড তৈরীর প্রক্রিয়াতেও কিছু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে জানিয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, অনিয়মের মাধ্যমেও যদি এসব কার্ড ইস্যু করার প্রমাণ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
[১২] আগামী আরো কয়েক মাস দরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার মত পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী সরকারের কাছে মজুত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, খাদ্য সংকট জনিত কারণে জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার মত কোনো কারণ নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়