বিপ্লব বিশ্বাস, পিরোজপুর থেকে: [২]কাউখালীতে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডিলার মো. হাফিজুর রহমানের ডিলারশিপ বাতিল ও অর্থদন্ড প্রদান করেছেন উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটি।
[৩] সোমবার (১৩ এপ্রিল) রাতে উপজেলা খাদ্যবন্ধব কর্মসূচির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মাৎ খালেদা খাতুন রেখার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্ত ডিলার হাফিজুর রহমান উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুক্তার কাঠি গ্রামের বাসিন্দা।
[৪] উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. মেহেদি হাসান জানান, গত সোমবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় বিতরনকৃত ১০টাকা মূল্যে চাল তদারকি করতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ কমিটির সদস্যরা। তখন ২৪টি কার্ডের চাল বিতরণের অনিয়ম ধরা পড়ে।
[৫] এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই ২৪ কার্ড জব্দকরে নিয়ে আসেন। তখন ওই সব কার্ডের বিপরীতে গত ২০১৮/১৯ সালের বিতরণকৃত চালের মাস্টার রোল ও তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়। পরে তদন্ত করে দেখা যায় ওই ২৪ কার্ডে ১৪১০ কেজি চাল বিতরণে অনিয়ম করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই দিন রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মাৎ খালেদা খাতুন রেখার সভাপতিত্বে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সকলের সম্মতিতে ও বিধি অনুযায়ী চালের দ্বিগুন দাম হিসাবে ১ লাখ ২২হাজার ৬৪২টাকা জরিমানা ও ওই ডিলারের ডিলারশিপ বাতিলের সিদ্ধান্ত করা হয়েছে। একই সাথে পার্শ্ববর্তী ২নং আমড়াঝুড়ি ইউনিয়নের ডিলার সাঈদুর রহমানকে ওই ইউনিয়নের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়।
[৬] এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মাৎ খালেদা খাতুন রেখা ওই ডিলারের ডিলার শিপ বাতিলের কথা স্বীকার করে জানান, চাল বিতরনের অনিয়মের তথ্য মিললে তার ডিলারশিপ বাতিল সহ অর্থদন্ড করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওই ডিলারের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি চাল বিতরণে কোন অনিয়ম করেন নি দাবি করে জানান, আমি প্রতি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত কার্ডধারীদের চাল দিতে দোকান খোলা রাখি। বিষটি নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ তদন্তটিমকে আমি বিষয়টি বুঝাতে চাইলে তারা আমার কথায় কোন কর্ণপাত না করে আমাকে অর্থদন্ডসহ ডিলারশিপ বাতিল করেন।
আপনার মতামত লিখুন :