ইসমাঈল ইমু: [২] বরগুনার পোটকাখালী আবাসন প্রকল্পের রিকশাচালক খলিলুর রহমানের রিকশা আটকে আদায়ের কারণ জানতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সরোয়ার টুকু এ হুমকি দেন।
[৩] রিকশা চালক খলিল জানান, পাঁচ দিন আগে বরগুনার নাথপট্টি লেকের মোড়ে সামনে রিকশা চালানোর সময় একটি মাইক্রোবাস হঠাৎ করেই ব্রেক করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রিকশাটি মাইক্রোবাসের পেছনের দিকে লেগে যায়। এ অপরাধে চারদিন খলিলের রিকশা আটকে রাখেন টুকু। শুধু রিকশাই আটকে রাখেননি পাঁচশ’ টাকা জরিমানাও নেন। এর মধ্যে কয়েক দফা মারধরেরও স্বীকার হন খলিল।
[৪] খলিল আরো বলেন, কত মানষের হাতে পায়ে ধরছি, কইছি আমার রিকশাডা একটু ছাড়াইয়া আইনা দেন। অনেকেই হ্যার ধারে গেছে। কিন্তু হ্যাগো কতায় আমারে রিক্সা ফেরৎ দেয় নায়। শ্যাষে বরগুনা শহরের এক ডাক্তার আফায় আছে। যে বেশিরভাগ সময় আমার রিকশায় আওয়া যাওয়া করে। হ্যারে ধইরা চারদিনের মাথায় আমার রিকশাডা ফেরৎ পাইছি।
[৫] এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ঘটনার দিন আমি মাক্রোবাসে ছিলাম না, আমার ড্রাইভার ছিল। সেই রিকশা চালক আমার গাড়িতে বিশ হাজার টাকার ক্ষতি করেছে। তারপরেও বিষয়টা আমি একদিন পরে শুনেছি। জরিমানা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ সে করে থাকলে আমি পিটিয়ে পিঠের চামড়া উঠিয়ে দিব।