রাশিদ রিয়াজ : [২] আগামী মে মাসের শুরুতেই এ ধরণের উৎপাদন হ্রাস কার্যকর শুরু হবে। করোনাভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে ব্যারেল প্রতি দর ২০ ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার ফলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের তেল মন্ত্রী ড্যান ব্রাউইলেট বলেছেন এধরনের সিদ্ধান্ত কানাডা ও ব্রাজিলের পক্ষে মেনে চলা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র ইমিমধ্যে দিনে ২ মিলিয়ন ব্যারেল উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরটি
[৩] ওপেক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তেল উৎপাদন হ্রাসের এ সিদ্ধান্ত ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হবে এবং এবছরের শেষ দুই মাসে উৎপাদন কমে দাঁড়াবে দিনে ৮ মিলিয়ন ডলার। তারপর উৎপাদন আরো কম হ্রাস পাবে। রয়টার্স
[৪] তেলের উৎপাদন হ্রাস নিয়ে সৌদি আরব ও ওপেকের সদস্য নয় এমন দেশ রাশিয়ার সঙ্গে যে মনোমালিন্য চলছিল তাতে যুক্তরাষ্ট্র চাপ সৃষ্টি করে। কারণ বিশ্বে তেলের চাহিদা অর্ধেকে নেমে আসার পরও সৌদি আরব ও রাশিয়া তেল উৎপাদন হ্রাসে রাজি হচ্ছিল না। অয়েল প্রাইস ডটকম
[৫] সৌদি আরব ও রাশিয়ার শীর্ষ রফতানি আয় ও বাজেটে অর্থায়নের বড় উৎস হচ্ছে তেল। তেলের দর কমে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের তেল রফতানিও বিপাকে পড়ে।
[৬] ওপেকের তেল উৎপাদন হ্রাসের পর বাজারে দর বৃদ্ধি পায় ১২ শতাংশ। ব্রেন্ট ক্রুড ব্যারেল প্রতি ৩৪ ডলারে ওঠে এবং ডব্লিউটিআই ক্রুড বিক্রি হয় ২৬.২৩ ডলার ব্যারেল। বাজার ধরে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে তেলের দর ব্যারেল প্রতি ৪০ ডলারে উঠুক। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন মস্কো চায় ৪২ ডলার এবং ব্যারেলে ৭০ থেকে ৮০ ডলার না উঠলে সৌদি আরব তার অর্থনৈতিক সংস্কার ধরে রাখতে পারবে না ।