শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল, ২০২০, ০৫:০৯ সকাল
আপডেট : ০৮ এপ্রিল, ২০২০, ০৫:০৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কোভিড-১৯ থেকে অর্থনীতিকে বাঁচাতে প্রয়োজন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, গণ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও গরীব মানুষের সামাজিক সুরক্ষা

বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] আর এই কাজ করতে গিয়ে সরকারের যে অর্থের প্রয়োজন হবে তার জন্য ধনীদের উপর অতিরিক্ত ১ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পদ কর বসানো। বর্তমানে দেশের জিডিপি হলো প্রায় ২৬ লাখ হাজার কোটি টাকা। এর ৭৫ শতাংশ দেশের ১০ শতাংশ ধনিদের হাতে। এই ১০ শতাংশ মানুষের দেড় শতাংশ করে ৯০ শতাংশ মানুষ বেঁচে যাবে। অর্থাৎ সরকারের হাতে টাকা আসবে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এই টাকায় এখনি প্রয়োজন স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির ৩ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া।

[৩] অর্থমন্ত্রী যাই বলুক, অর্থব্যবস্থায় সঙ্কট আসা স্বাভাবিক। যে কোনও অর্থব্যবস্থার বৃদ্ধির জন্য পুঁজি ও শ্রমের গতিময়তা অত্যন্ত প্রয়োজন। বাজারে পুঁজি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাবে, কারখানা খোলা থাকবে, পরিবহণ ব্যবস্থা কাজ করবে, শ্রমিকরা কাজে আসবেন, পণ্য উৎপাদন এবং সরবরাহ করবেন, তবেই অর্থব্যবস্থা সচল থাকবে, বৃদ্ধি হবে।কোভিড-১৯ অতিমারির আঘাতে পুঁজি নিথর হয়ে কলকারখানায় পড়ে আছে, শ্রমিকরা কাজে যেতে পারছেন না, সরবরাহ বন্ধ।

[৪] আগের যেকোন অর্থনৈতিক সংকট থেকে এবারের সংকট অন্যরকম। ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপি আর্থিক সংকট থেকে বাংলাদেশ মুক্ত ছিল বলে অনেকে তৃপ্তি পাচ্ছেন যে কোভিড সংকটের পরেও বাংলাদেশ উঠে দাঁড়াবে বিশ্বব্যাপি দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে। কিন্তু এবার এটি সম্ভব হবে না।

[৫]২০০৮-এর বিশ্ব মন্দার ক্ষেত্রে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ার দরুন আর্থিক বৃদ্ধির হার নিম্নগামী হয়। একে আমরা চাহিদার সঙ্কট বলতে পারি। কিন্তু এখন কোভিড-১৯’এর প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী তথা আমাদের দেশে চাহিদা ও জোগান দু’দিক থেকেই অর্থব্যবস্থায় সঙ্কট এসেছে। সব কলকারখানা বন্ধ, কোনও উৎপাদন হচ্ছে না। এমনকি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জোগানেও ঘাটতি দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। জোগানের সঙ্কটও অবশ্যম্ভাবী। আবার অভিবাসী শ্রমিক-সহ সমস্ত মজুর, বিশেষ করে যাঁরা অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন, তাঁদের উপার্জন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাঁরা ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছেন। ফলে ঘনীভূত হয়েছে চাহিদার সঙ্কটও। বিআইডিএসের শ্রমিক জরিপ অনুসারে দেশে সাড়ে ৬ কোটি এধরণের শ্রমিক রয়েছে। আর তালিকাভূক্ত শ্রমিক মাত্র ৩৮ লাখ। সূত্র কলকারখানা পরিদপ্তর।

[৬] গত কয়েকদিন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, ড. শামসুল আলম ও অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে করোনার অর্থনীতি নিয়ে কিছু আলোচনার পর এই বিষয়গুলোই মনে হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়