আরমান কবীর, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: [২] সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি লকডাউনের ঘোষণায় টাঙ্গাইল শাড়ির গৌরবে ধন্য জেলার এক লাখ তিন হাজার ২০৬জন তাঁত শ্রমিক কর্মহীন হয়ে ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে।
[৩]জেলার তাঁত বোর্ড নিয়ন্ত্রিত দুটি বেসিক সেন্টারে তথ্যমতে, চার হাজার ১৫১জন ক্ষুদ্র তাঁত মালিক লকডাউনে থাকায় খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে। এর মধ্যে মাত্র আড়াইশ’ শ্রমিককে সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
[৪] এসব তাঁত শিল্পে কাজ করা তাঁতীদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।
[৫] গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারিভাবে সাধারণ ছুটির আদলে অঘোষিত লকডাউন ঘোষণার পর থেকে জেলার সকল তাঁত ফ্যাক্টরী বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে এক লাখ তিন হাজার ২০৬জন তাঁত শ্রমিক এবং চার হাজার ১৫১জন ক্ষুদ্র তাঁত মালিক বেকার হয়ে পড়েন।
[৭] বেকার হওয়া তাঁত শ্রমিকদের প্রায় অর্ধাংশ যার যার বাড়িতে চলে গেছেন। রয়ে যাওয়া শ্রমিকরা বাড়িতে অবস্থান করে সরকারি নির্দেশনা পালন করছেন। তাদের ঘরে এক সপ্তাহের খাবার থাকলেও তা শেষ হয়েছে।
[৮] বর্তমানে অধিকাংশ তাঁত শ্রমিক পরিবার পরিজনদের নিয়ে একবেলা-দু’বেলা আধপেটা খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
[৯] তাঁত বোর্ডের কালিহাতী বেসিক সেন্টারে ১৭টি প্রাথমিক তাঁতী সমিতির এক হাজার ৮৮৪জন ক্ষুদ্র তাঁত মালিকের ২১ হাজার ৯৭৩টি তাঁত রয়েছে। প্রতি তাঁতে তিনজন শ্রমিকের হিসেবে ৬৫ লাখ ৯১৯জন শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
[১০] টাঙ্গাইল সদর (বাজিতপুর) বেসিক সেন্টারে ৩২টি প্রাথমিক তাঁতী সমিতির দুই হাজার ২৬৭ জন ক্ষুদ্র তাঁত মালিকের ১২ হাজার ৪২৯টি তাঁত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ৩৭ হাজার ২৮৭জন শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
[১১] এসব তাঁতে কাজ করা শ্রমিকরা জানান, বর্তমান লকডাউন ঘোষণার কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে গত দুই সপ্তাহ যাবত তারা বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাদের অধিকাংশের ঘরে এক সপ্তাহের খাবার ছিল। এখন তারা কৃচ্ছতা সাধন করে কোন রকমে খেয়ে- না খেয়ে বেঁচে আছেন। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :