মাজহারুল ইসলাম : [২] মন্দায় চাহিদা বা যোগান যে কোনও একদিকে সঙ্কট তৈরি হয়। কিন্তু এবার চাহিদা ও যোগান দুই ক্ষেত্রেই সঙ্কটে পড়েছে দেশ। তারপরও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অর্থনেতিক প্রাক্কলনে বলছে বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ডয়চে ভেলে
[৩] কিন্তু পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখনো আমাদের কাছে পূর্নাঙ্গ তথ্য নেই। পর্যবেক্ষণ বলছে, বর্তমানে এক কোটির বেশি লোক কাজ হারিয়েছেন। ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৪ কোটি লোক। এশীয় উন্নয়ন ব্যংক যে প্রবৃদ্ধির কথা বলছে তা একমাস আগের তথ্যের ভিত্তিতে করা। সুতরাং তার ওপর আস্থা রাখার কোনও কারণ নেই। আমরা ইতোমধ্যে মন্দার কবলে পড়ে গেছি।
[৪] এখন বাংলাদেশের একমাত্র কৃষিখাত ছাড়া আর সব খাতই করেনার কারণে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আর এই কৃষিখাতকেও কতদিন ধরে রাখা যাবে তা নির্ভর করছে সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহের ওপর। এর ওপরে পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থা কতটা সচল রাখা যায় তাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
[৫] এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) মাসখানেক আগের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অর্থনেতিক প্রাক্কলনে বলছে বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতির পরিমান হবে ক্ষতির পরিমাণ ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার (১ ডলার ৮৫ টাকা হিসাবে ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। জিডিপির শূন্য দশমিক ২ থেকে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ ক্ষতি হবে। তবে সারাবিশ্বে প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশের বেশি কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[৬] এডিবি বলছে বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ মানুষ চাকরি হারাবে। মার্চে বাংলাদেশে রেমিটেন্স এসেছে ১.২৮ বিলিয়ন ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ শতাংশ কম।
[৭] এদিকে, বিজিএমইএর হিসেবে বিদেশি ক্রেতারা ৫ এপ্রিল পর্যন্ত তৈরি পোশাকের অর্ডার বাতিল করেছে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগেরও বেশি আসে এই খাত থেকে। পোশাক শিল্পের সঙ্গে ৫০ লাখেরও বেশি শ্রমিক জড়িত।
[৮] বিআইডিএস-এর অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে রপ্তানি ২৩ ভাগ কমেছে। আমদানি কমেছে ৯ ভাগ। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমে গেছে। এর মানে হলো সব ধরনের শিল্প উৎপাদন কমে গেছে। যা আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :