আনিস তপন : [২] করোনা মোকাবিলায় মানুষকে ঘরে রাখতে বই বিতরণ, ভ্রাম্যমান বাজার পরিচালনা, ভাসমান প্রাণিদের খাবার প্রদান ও কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়ির সামনে লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
[৩] কর্মহীনদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ছাড়াও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারকে ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত ভ্রাম্যমান বাজারে থাকছে, কাচাঁবাজার, মাছ, মাংস, ফল, নৃত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। এছাড়া ভাসমান বাজারের (সেবার নৌকা) মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।
[৪] প্রশাসনের এই ব্যবস্থাপনায় তাতে স্বস্তি প্রকাশ করে পিরোজপুর জেলার জনসাধারণ জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। এর আগে গত এক মাসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত সহায়তায় ২৬ হাজার ৪০০ পরিবারের মধ্যে ২ লাখ ৬৪ হাজার কেজি চাল বন্টন করেছে জেলা প্রশাসন। দুস্থ্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে দেয়া সরকারে ত্রাণ সহায়তায় এক প্যাকেটে চাল ১০ কেজি, ডাল এক কেজি, আলু ৫ কেজি পর্যন্ত, পিয়াজ ২ কেজি পর্যন্ত, তেল এক লিটার, লবন এক কেজিসহ বিস্কুট, শিশুখাদ্য, চিনি রয়েছে। জেলার ৫১ টি ইউনিয়নের ৪৫৯ টি এবং ৪ টি পৌরসভার ৩৬ টি ওয়ার্ডে ৬ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
[৫] জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট সকল উপবরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন ভিত্তিক জনসাধারণের বিভিন্ন পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের অপ্র্যাশিত খাত থেকে এপর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।