শাহানুজ্জামান টিটু : [২] বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে ভয়াবহতা আসছে, এখনো রিয়েলাইজ করতে পারছে না তারা। ২৭ দিন হয়ে গেছে। শনিবারের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এটা জ্যামিতিক হারে বাড়বেই। ওই জিনিসটা যদি আমরা উপলব্ধি করতে পারি, আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছি, আমরা ওইভাবে পরাজিত করবো, পরাজিত তো অবশ্যই করবো তবে তার জন্যে যে অস্ত্র দরকার, যে উইপেন্স দরকার, সেই উইপেন্সগুলো তো আমরা পাচ্ছি না।
[৩] সবচেয়ে বড় দূর্বলতা হেলথ ডিপার্টমেন্টের মধ্যে পারস্পরিক যে সমন্বয় থাকা দরকার তা ঠিক নেই। ডিজি হেলথ এক কথা বলছেন, আইইডিসিআর ডিজি আরেক কথা বলছেন আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী তো আরো ভীষন কথা বলছেন। যেসব কথা শুনলে মনে হবে না দেশে কোনো ভাইরাস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
[৪] মির্জা ফখরুল বলেন, করোনাভাইরাস মানবসভ্যতার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জটা মোকাবিলা করার জন্য আমরা সবাই হাত বাড়িয়ে আছি। তারপরেও তারা বলছেন আমরা নাকি এমন এমন কথা বলছি যে, দায়িত্বজ্ঞানহীন-কান্ডজ্ঞানহীনের মতো কথা বলছি। কোথায় দেখালেন তারা এসব?
[৫] প্রশ্নগুলো এখানে হাউ উই লুকিং টু দি থিংকস। আপনি কি বুঝতে পারছেন যে, সারা পৃথিবী ভয়ংকর মহামারীর মধ্যে পড়েছে, আপনারা কী বুঝতে পারছেন যে, সারা পৃথিবী গ্রেট ডিপরেশনের দিকে যাচ্ছে। সেই বিষয়গুলো সরকারের যদি দায়িত্ববোধ না থাকে তাহলে এই রাষ্ট্র কিভাবে টিকে থাকবে এটা আমাদের বোধগম্য নয়।
[৬] রোববার উত্তরার নিজ বাসভবনে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।