আহসান হাবিব : ইসলামিক আইনের বিরোধী কৌশল প্রয়োগের আরেকটি উদাহরণ হলো সবসময় অন্যের সমালোচনা করা। যে মানুষটি অন্যের সমালোচনা করতে অভ্যস্ত সে সবসময় নিজেকে দোষমুক্ত প্রমান করতে চায় এবং অন্যের কোনো কৃতিত্ব মেনে নিতে পারেনা।
হয়তো একজন মানুষের নিজেরই অনেক ঘাটতি রয়েছে অথচ সে সবসময় অন্যের ঘাটতি নিয়েই গবেষণা করে যায়। এমনও পরিস্থিতি হয়ে যায় যে, সে হয়তো অন্যের সমালোচনা করে কিংবা অন্যকে হেয় করেই অনেক বেশী সন্তুষ্টি ও সুখ খুঁজে পায়।
কিন্তু সমালোচনা করে একজন ব্যক্তি যে সুখ পায়, অন্য কারও প্রশংসা করতেও কি সে একই ধরনের স্বস্তি পায়?
ইসলাম মানুষের প্রশংসা পাওয়ার জন্য কিছু গুন অর্জনের কথা বলেছে। যেমন বিশ্বাস, সততা, ধর্ম অনুশীলন, করুণা, আত্মত্যাগ, আনুগত্য, চেষ্টা করা এবং অন্যকে সহযোগিতা করা। যে মানুষটির ভেতর এই গুনগুলো রয়েছে, তিনি নি:সন্দেহে প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
আবার ইসলাম কিছু দোষ এবং পাপের কথাও বলে দিয়েছে। যেমন: ভন্ডামি, অবিশ্বাস, ভুল করা, কারও উপর জুলুম করা, অতিরিক্ত রাগ করা, সীমানা অতিক্রম করা, শারীরিকভাবে অন্যায্য কামনায় লিপ্ত হওয়া। এসব বৈশিষ্ট্য যার মধ্যে আছে ইসলাম তাকে পরিত্যাগ করতে বলেছে।
তাই ব্যক্তিগত আবেগ অনুভুতির দোহাই দিয়ে অন্যের প্রশংসা বা সমালোচনা করার সুযোগ নেই। কারণ কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে প্রশংসা করা যাবে আর কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে এড়িয়ে চলতে হবে- কুরআন ও সুন্নাহ সেই মানদন্ড নির্ধারন করে দিয়েছে।
এরপরও কিছু লোককে পাওয়া যায়, যারা অন্যকে সমালোচনা করার মাঝেই যাবতীয় সুখ খুঁজে পায়। এমনকি তারা এমন লোককেও সমালোচনা করতে ছাড়েনা, যারা তাদের জ্ঞান-গরিমার জন্য সুপরিচিত। এই ধরণের ব্যক্তিরা ইসলামিক কাজে সম্পৃক্ত এমন অনেকেরও সমালোচনা করেন। ইসলামের এই খাদেমদের সামান্য ব্যক্তিগত দুর্বলতাগুলোকেও ঐ সমালোচকরা অনেক বড় করে প্রচার ও প্রকাশ করেন। এরা শুধু মানুষের দোষত্রূটি খুঁজে বেড়ায়।
আপনার মতামত লিখুন :