মাজহারুল ইসলাম : [২] ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। তাতে বলা হয়, ওই ভিডিওটিতে জনৈক সাংবাদিক রিপটাইড ভাইরাসের কথা বলেছেন। এটা জানার পর ইংরেজিতে রিপটাইড ভাইরাস লিখে গুগ্ল সার্স করে দেখা যায় ‘উইকিপিডিয়া’ এবং ‘আইএমডিবি’-র ২টি লিঙ্কে এ ভাইরাসটির কথা উল্লেখ আছে। যা রিপটাইড ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে ২০০৭ সালের মার্কিন মিনিসিরিজ ‘প্যান্ডেমিক’-এর গল্প।
[৩] রিপটাইড নামক কাল্পনিক ওই ভাইরাসটির উৎস বার্ড-ফ্লু। জ্বর ও খিঁচুনি সংক্রমণ উপসর্গের এ ভাইরাসটি অ্যাঞ্জেলসে ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হতে থাকে। সে সময় এ ভাইরাসের সংক্রমণ কীভাবে ঠেকানো হয়, সেটা নিয়েই মার্কিন মিনিসিরিজের এই গল্প। অথচ ওই সিরিজের ভিডিও’র কিছু অংশ ইতালির ভয়াবহ পরিস্থিতির ছবি বলে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
[৪] আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘প্যান্ডেমিক’ লিখে ইউটিউবে সার্চ করে দেখা যায় ‘করোনাভাইরাস মুভি-পার্ট টু’ লিখে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মুভিজ সেন্ট্রালের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টার একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। সেই ভিডিওটির ২১ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপই ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
[৫] প্রসঙ্গত : সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিসম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বিশাল এক হল ঘরে স্তুপ দিয়ে রাখা প্যাকেটে মোড়া মরদেহ একটি ট্রাক থেকে গণকবরে ফেলা হচ্ছে। আর ক্যামেরার সামনে সেই ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছেন এক সাংবাদিক। সেই ভিডিওটি শেয়ার করে পোস্টে দাবি করা হয়, মরদেহগুলো ইতালির করোনা আক্রান্ত মৃতদের।
আপনার মতামত লিখুন :