সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য আরো বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে। এতে অনেকগুলো ছোট ব্যবসাকে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে যাবে।
[৩] কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, এই মহাদুর্যোগের সময় জাতিগতভাবে নিজস্ব শক্তিতে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্মেন্টস সেক্টরে ক্ষতিপূরণে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে দেশে হাজার হাজার দোকান বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী জামা-কাপড়, ইলেক্ট্রনিক্স, বুটিকসসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায় জড়িতরা, পড়েছেন চরম বিপাকে। এদেশে বুটিকস শিল্প খুবই জনপ্রিয়। এর সঙ্গে তাঁত শিল্পের ভাগ্য জড়িত। সেগুলোও বন্ধ রয়েছে। তারা ব্যবসা সেভাবে চালাতে পারছে না।
[৪] তিনি বলেন, এবার পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে গেছে। নববর্ষকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয়। আসন্ন ঈদে দোকানদারদের ব্যবসাও অনিশ্চিত। তাই এদেরকে বিশেষ অর্থনৈতিক প্রণোদনা না দিলে হাজার হাজার দোকান মালিক কর্মচারীসহ লাখ লাখ শ্রমিক প্রচন্ড দুঃসময়ের সম্মুখীন হচ্ছে এবং হবে। এছাড়া দেশে হাঁস-মুরগি ও গরুর খামারগুলো বিপদে আছে। গরু খামারিদের দুধের দামও কমে গেছে। এই শ্রেণির মানুষগুলোর দুঃখ কষ্ট প্রধানমন্ত্রী অনুধাবন করে থাকেন। তাই তাদের জন্য প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চয় প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করবেন।
[৫] শুক্রবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের পক্ষে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।