জেরিন আহমেদ [২] বুদ্ধিমানের মতো রান্না করুন। যেহেতু কারও বাড়িতেই গৃহকর্মী আসছেন না, তাই নিজের হাতে পরিস্থিতি সামলাতে সুবিধা হবে। বাইরের খাবারদাবার এখন একেবারেই মিলবে না, তাই রান্নাঘরে বারবার ঢুকতে হবযত দিন যাবে, এই ফলমূল জাতীয় জিনিসের সহজলভ্যতা তত কমবে। যারা সালাদ আর ফল খেয়েই দিনযাপন করতেন, তাদের খুব অসুবিধা হবে। কিন্তু পাশাপাশি এটাও খেয়াল রাখবেন যে এই পরিস্থিতি আপৎকালীন, বিলাসিতা ভুলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার উপর জোর দিন।
[৩] হালকা নাস্তার জন্য ভাজাভুজি নয়, ভরসা রাখুন সেদ্ধ বা শুকনো খোলায় ভাজা ছোলা, মুড়ি বা চিড়ার উপর। এর বাইরে কিছু বাদাম-কিশমিশ সংগ্রহ করতে পারলে তো আরও ভালো।
[৪] প্রতিদিনের রান্নাবান্না এমনভাবে প্ল্যান করুন যাতে গ্যাস আর এনার্জি দুটোই বাঁচে। যাদের বাড়িতে হার্ট পেশেন্ট বা ডায়াবেটিস রোগী আছেন, তাদের সংগ্রহেও যদি চাল, ডাল, আটা, লবণ, তেল, আলু, পেঁয়াজ থাকে, তাহলেই দিব্যি চলবে!
[৫] দুপুরে ভাত-ডাল-তরকারি রান্নার সময় খুব বেশি তেল মশলা ব্যবহার করবেন না। বিকেলের নাস্তা সংক্ষিপ্ত হলে রাতে রুটি-তরকারি হতেই পারে। সব সময় পেট হালকা রেখে খাবেন। তাতে শরীর ভালো থাকবে।
[৬] সকালের দিকে যাদের পাউরুটি ছাড়া চলে না, তারা ক্রমশ নির্ভরতা কাটানোর চেষ্টা করুন। চিড়ার পোলাও, দুধ-মুড়ি, কর্নফ্লেক্স থাকলে ভালো। নাহলে রুটি বা ছাতুর উপর ভরসা করুন।
আপনার মতামত লিখুন :