কামরুল হাসান মামুন : সব কিছু মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন আইসিডিডিআরবি নামক প্রতিষ্ঠানকে অনেকদিন যাবৎ অন্তর্ভুক্তই করেনি। কয়েকদিন আগে তাদের যদিওবা অন্তর্ভুক্ত করেছে সেটাও নামমাত্র। সম্প্রতি বেসরকারি সাতটি ল্যাবকে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করার অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব এখনো এককভাবে আইইডিসিআরের নিয়ন্ত্রণে। তারাই কেবল নমুনা সংগ্রহ করে অন্য ল্যাবে পাঠাবে। ওইসব ল্যাব নিজেরা নমুনা সংগ্রহ করতে আবার এখন পর্যন্ত অনুমতি পাওয়া ৭টি ল্যাবে কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি। বোঝাই যাচ্ছে এ সব কিছুই আইওয়াশ মাত্র। পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে সরকারি আমলাদের এ রকম কঠিন নিয়ন্ত্রণ কল্পনা করা যায়। পুরো বিষয়টা যেন বিটিভির সংবাদ। সত্যি বলতে কী অধ্যাপক সেব্রিনা আর বিটিভির সংবাদ পাঠিকার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার একটি উচ্চ পর্যারের কমিটি করেন। এই কমিটির সব পর্যায়ের সদস্য হলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, উপসচিব প্রমুখ। কারণ সরকার জানে আমলারা হলো পুতুল নাচের পুতুলের মতো। বিশ্বের আরেকটি দেশ পাবেন না যেখানে এ রকম একটি কমিটিতে কেবল আমলা থাকে। বরং উল্টো। পুরো কমিটি হবে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ও গবেষকদের নিয়ে আর আমলারা কেবল ক্লারিক্যাল কাজটি করে দেবে। এ যেন ভূতের উল্টো পায়ে চড়ে কেবল পেছনে হাঁটা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :