জিএম মিজান , বগুড়া প্রতিনিধি: [২] মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া সদর থানার সুত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বগুড়া সদরের ছোট কুমিড়া গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে হান্নান (৩২), একই গ্রামের দুলু খানের ছেলে রাশেদ (৪০) ও দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানার নয়াপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে নুরুন্নবী ওরফে মুন্না (২৫)।
[৩] গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রাশেদ ও হান্নান জিঙ্গাসাবাদে জানায়, ২১ মার্চ সন্ধ্যার পর মাদক সেবনের কথা বলে তারা আজগর আলী পিয়ালকে অটোরিকশাসহ ছোট কুমিড়া গ্রামের পিছনে কবরস্থানে ডেকে নেয়। সেখানে ৩জন এক সাথে মাদক সেবন করার সময় পিয়ালের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর তার অটোরিক্সা নিয়ে দুইজন পালিয়ে যায়। ঐ রাতেই অটোরিক্সাটি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটে নিয়ে গিয়ে মুন্নার কাছে রাখে বিক্রি করার জন্য।
[৪] উলেখ্য, ২১ মার্চ সিএনজি চালক আজগর আলী পিয়াল নিখোঁজ হওয়ার পর ২৮ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ছোট কুমিড়া গ্রামের কবরস্থানে একটি পুরাতন কবর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মহিদুল ইসলাম শনিবার রাতে সদর থানায় মামলা করেন।
[৫] বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, রাশেদ ও হান্নানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি ঘোড়াঘাট থেকে মুন্নাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে অটোরিক্সাটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি। সম্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী