আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] গত ৬০ বছর ধরে শ্রীলঙ্কার শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী ফ্রি। ফলে তারা আগে থেকেই প্রচুর পরিমানে দক্ষ চিকিৎসাকর্মী তৈরি করে রাখতে পেরেছিলো। হেলথ দ্য রিভিউ
[৩] দ্বীপরাষ্ট্রটিতে প্রায় ১ শতাব্দি ধরে কমিউনিটি স্বাস্থ্যপরিষেবা বিদ্যমান। দেশটিতে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুহার পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেই সর্বনিম্ন। যাকে শুধু পশ্চিমা দুনিয়ার সঙ্গেই তলিনা করা যায়। পুরো অঞ্চলেই দেশটির গড় আয়ু সর্বোচ্চ। পৃথিবীর একমাত্র দেশ হিসেবে যারা শতভাগ টিকা কাভারেজ দিতে সক্ষম হয়েছে।
[৪] এছাড়াও শ্রীলঙ্কায় রয়েছে অতিপরিকল্পিত প্রাতিষ্ঠানিক রেডিয়াল স্বাস্থ্য সেবা। যা দ্বারা ব্যক্তিগত পর্যায়ের স্বাস্থ্যখাত নিয়ন্ত্রণ করা হয়। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এই যৌগিক স্বাস্থ্যখাত অত্যন্ত শক্ত ভূমিকা পালন করেছে।
[৫] চীনে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরুর পরেই শ্রীলঙ্কা তার সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত করে ফেলে। দেশটির ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিসকেও রাখা হয় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্তায়। সরকার প্রায় সঙ্গেই সঙ্গে এভিয়েশন ও সীমান্ত সুরক্ষা দল তৈরি করে ফেলে। সকল পর্যটকের চলাফেরা নজরদারীর আওতায় আনা হয়।
[৬] ১ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কা প্রথম দেশ হিসেবে নিজ নাগরিকদের উহান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। উদ্ধার করা ৩৩টি পরিবারকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনের আওতায় আনা হয়। এর আগে কোনও দেশ কোয়ারান্টাইনের উদ্যোগ নেয়নি।