দেবদুলাল মুন্না :সে এবার বৃত্তায়ন নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানাচ্ছে। ঘরে বসে নেই। তার কথা, ‘দূরে দূরে থাইকা এক মানুষ আরেক মানুষরে কেমনে বাঁচাইবো’, সে এতো কঠিন কঠিন শব্দ, হোম কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, সোশ্যাল ডিসট্যান্স, ভাইরাস এসব বোঝে না বলেই হয়তো এমন সরল প্রশ্ন জাগে মনে। তাকে মনে আছে? গত বছর ২৮ মার্চ যখন বনানীর ২২ তলা ভবনে আগুন লেগেছিলো, যখন আম-পাবলিক সমাবেশের মতো ভিড় করে আগুন নেভানোর কাজে পরোক্ষ বাধা দিচ্ছিলো, যখন অনেকে সেলফি তোলায় ব্যস্ত ঠিক তখন এই ছেলেটি পানির পাইপ ফেটে গেলে অসহায়ের মতো চেপে ধরে বসেছিলো এবং চোখে কান্না ছিলো।
এই সেই ছেলে যার নাম নাঈম যে স্কুলে পড়ে না, ভালো খাবার খায় না, কোনো নীতিবাক্য শোনে বেড়ে উঠছে না, এই সেই-ই আমাদের বাংলাদেশের প্রাণ বা আগামীর বাংলাদেশ বলে আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগার কোনো দরকার নেই। শুধু তার কাছ থেকে শিখে নিন, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়, দাঁড়াতে হয়, দাঁড়াতে হয়, কেননা সে শুনে বড় হয়নি, ‘ওইসব পাবলিক ফ্যাসাদে তুমি জড়াবে না, স্কুল শেষে বাসায় ফিরবে সোনা সেইফলি, লাভ ইউ’ সে গতবার এক ইন্টারভিউতে বলেছিলো, ‘আমি কিছু হতি চাই না। মাইনষের কান্দন দেখলে আমার কান্দন পায়’।
আপনার মতামত লিখুন :