সুজিৎ নন্দী: [২] করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে শুধুমাত্র ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানি ছেটানো ছাড়া ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির কোন কার্যক্রম নেই। কিন্তু ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোন কার্যক্রমই চোখে পরে না। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে বছরজুড়ে কাজ করার ঘোষণা থাকলেও ভিআইপি এলাকা ছাড়া জানুয়ারি থেকে মার্চে কার্যক্রম প্রায় শূ্ন্যের কোটায়। আসন্ন ডেঙ্গু মৌসুমে এবার ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। একাধিক সূত্র জানায়, প্রতিদিনই শতাধিক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। একধিক হাসপাতাল সূত্রে এতথ্য জানা যায়।
[৩] সূত্র জানায়, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৭১ জন। গত বছর ৩০ মার্চ পর্যন্ত ছিল ৭৩ জন। গত বছরের তুলনায় এবার তা প্রায় তিনগুণ বেশি। তাই এ পরিসংখ্যান অনুযায়ি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি লাগামহীন হতে পারে। একাধিক চিকিৎসক এরকম মন্তব্য করেন।
[৪] বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম. আবদুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গুর নিধনের ব্যাপারে দুই সিটির যে কর্মকাণ্ড থাকা উচিৎ সেটা কিন্তু নেই। দুই সিটির স্বাস্থ্য বিভাগের প্রথমও উচিৎ ডেঙ্গু নিধনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস আপাতত ঝুঁকির মধ্যে আছে। এই সময়কালে আমরা যদি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলি, প্রত্যেকে যদি সচেতন থাকে এবং দেশের বাইরে থেকে লোক না আসে তবে করোনার ঝুঁকি কমতে পারে।
[৫] ডিএনসিসির নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ডেঙ্গু এবং করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি। ডেঙ্গুর ব্যাপারে চিরুনি অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছি। করোনা আতংঙ্কে আমরা হাত ধোয়া কর্মসূচীসহ বিশেষ অভিযান চলবে। সকলের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করারও প্রস্তুতি নিয়েছি।
[৬] ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দুই সিটির বেশকিছু ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিএনসিসির পাঁচটি ওয়ার্ড রয়েছে। ডিএনসিসির ১, ১২, ১৬, ২০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড এবং ডিএসসিসি’র ৫, ৬, ১১, ১৭, ৩৭ ও ৪২ ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিন্থিত করেছে।
[৭] ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, ঢাকা উত্তরে মশার উপদ্রব খুবই কম। তবে আমাদের কার্যক্রম চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :