ইসমাঈল ইমু ও সুজন কৈরী : [২] সরকারি ছুটি ঘোষণার পর গত তিনদিন সড়কে বিভিন্ন যানবাহন ও মানুষের চলাচল একেবারেই কম ছিল। তবে রোববার সকাল থেকে রাজধানীতে চলাচলকারি অন্য যানবাহনের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল প্রাইভেট কার ও অটোরিকশা। পাশাপাশি মানুষের উপস্থিতিও বেড়েছে। প্রতিটি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দেখা গেলেও সার্জেন্টদের তেমন একটা চোখে পড়েনি।
[৩] রাজধানীর মগবাজার, মৌচাক, শান্তিনগর, কাকরাইল, গাবতলী, কাজীপাড়া, শ্যামলী, আসাদগেট, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, বিশেষ ছুটির মধ্যেও জীবিকা অর্জনের জন্য মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বা হেঁটে চলাচল করছেন। প্রধান সড়কে ভাড়ার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, রিকশা ও প্রাইভেটকার দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গেছে।
[৪] গাবতলীতে ইব্রাহিম মিয়া নামের একজন সিএনজি চালক বলেন, গত কয়েকদিন বাসায় বসে ছিলাম। জমানো টাকা তো বাজার করেই শেষ। এজন্য সকাল ৭টায় সিএনজি নিয়ে বের হয়ে বেলা ১টা পর্যন্ত ৪শ’ টাকা আয় করেছি। রাত পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে যা আয় হবে তা থেকে সিএনজি ভাড়া দেবো ও বাজার করবো।
[৫] হাতিরঝিলের নয়াটোলা অংশে দেখা মিলে সজীব নামের একজন সবজি বিক্রেতার। তিনি বলেন, আমরা দিন আনি দিন খাই। ঘরে কতদিন বসে থাকা যায়। পেটের তাগিদেই বাধ্য হয়ে ভোর রাতে কাওরানবাজারে গিয়ে কিছু টাকার সবজি কিনে এনে বিক্রি করছি।
[৬] ডিএমপির রমনা জোনের এডিসি আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় রোববার জনসাধারণ ও যানবাহনের চলাচল বেড়েছে। সড়কে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। সড়কে চলাচলরতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিচয়পত্র দেখানো ছাড়াও যৌক্তিক কারণ বলতে পারলে গন্তব্যে যেতে দেয়া হচ্ছে। নইলে বাসায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
[৭] ধানমন্ডি ট্রাফিক জোনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার আকারাম হোসেন বলেন, তারা রাস্তায় আছেন। তবে সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা কমানো হয়েছে। যানবাহন বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেশিরভাগ প্রাইভেটকার চালক ও আরোহির একই বক্তব্য হাসপাতাল ও ফার্মেসিতে যাচ্ছেন। এরপরও মানুষকে ঘরে থাকার আহাবান জানানো হচ্ছে।