সমীরণ রায়: [২] বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষ দুর্ভোগকে সব সময়ই সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করেছে। এবারও করবে। এছাড়া করনোভাইরাস সংক্রমণের কারণে সংকটগ্রস্থ রপ্তানীমুখি শিল্পের শ্রমিক কর্মচারীদের ভাতা প্রদানের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা তহবিল গঠনের ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে যে দরিদ্র মানুষকে ১০ টাকা দরে চাল, ‘ঘরে ফেরা’ কর্মসূচিতে যারা গ্রামে ফিরে যেতে চায় তাদের সহায়তা দেয়া, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে গরীব মানুষদের জন্য ছয় মাসের খাবার সংস্থান ও গৃহহীনদের গৃহতৈরী করে দেয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তারা।
[৩] এতে বলা হয়, অতীতে পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া হপ্তা, ভাতা গ্রাচুয়িটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ড দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্ধকৃত একহাজার কোটি টাকা সে কাজে সামান্যই ব্যবহৃত হয়েছে। বরং দেনা-পাওনা মেটাতে ব্যয় করা হয়েছে। এ কারণে এই বিশেষ তহবিলের টাকা শ্রমিক-কর্মচারীরা যাতে পায় তা নিশ্চিত করতে মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিক প্রতিনিধিদের যুক্ত করা উচিত।
[৪] বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের শ্রমজীবি মানুষের সংখ্যগরিষ্ট এখন অপ্রতিষ্ঠানিক খাতে এবং তারা তাদের আয় দিয়ে বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতি অবদান রাখছে। এই দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমজীবি যেমন মুটে, মজুর, রিক্সাওয়ালা, অটো-রিক্সা-টেম্পু চালক-হেলপার, এবং বিশেষ করে গৃহকর্মী যারা করনো ভাইরাস সংক্রমণের কারণে জীবীকা হারিয়েছে তাদের এবং বস্তিবাসী মানুষকে এই বিছিন্ন সময়কালে খাদ্য ঔষধ-পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী পৌছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।