লাইজুল ইসলাম : [২] ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. সুমাইয়া মামুন জানান, শিক্ষার্থীরা নিজেরাই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলো। শিক্ষকরা তাদের শুধু সহায়তা করেছে। মূলত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যৌথ প্রচেষ্টার ফসল।
[৩] সুমাইয়া মামুন গল্পের মত করে বলেন, প্রথম করোনা ভাইরাস নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলো। এরপর শুনা গেলো ফার্মেসি ও দোকানগুলোতে হ্যান্ডস্যানেটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না। সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। কোথাও কোথাও দিগুন মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
[৪] এ বিষয়ে শিক্ষকরা চিন্তা করতে থাকে এত দাম দিয়ে কিভাবে কিনবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া এই দুর্যোগের মধ্যে কোথায় যাবে হ্যান্ড স্যানেটাইজার খুঁজতে। এরসঙ্গে চিন্তায় চলে আসে তাদের স্বাস্থ্যের কথাও।
[৫] সুমাইয়া বলেন, ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা শুনতে পায় এই বিষয়টি। তারাই উদ্যোগ নিয়ে আমাদের জানায়, ফার্মেসি ডিপার্টম্যান্ট থেকে ফর্মূলা নিয়ে নিজেরাই বানাবে হ্যান্ড স্যানেটাইজার। সিদ্ধান্ত হয় আপাতত প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি করে বানানো হবে। নিজেদের ল্যাবেই তৈরি হবে হ্যান্ড স্যানেটাইজার।
[৬] সহকারী অধ্যাপক বলেন, স্যানেটাইজার বানাতে কোনো ধরনের ফান্ডিং বাইরে থেকে আসেনি। পুরো অর্থায়ন ডিপার্টম্যান্টের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ব্যবস্থা করেছে।
[৭] পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক বলেন, এরপর বানাতে শুরু করি। কিন্তু আমাদের হাতে বেশি সময় ছিলো না। তাই যত দ্রুত সম্ভব আমাদের ল্যাবেই তৈরি করা হলো। ছাত্রদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের শিক্ষার্থীর জানতে পারলো স্যানেটাইজারের খবর। তখন প্রত্যেকে নাম ও ফোন নাম্বার লিখে একটা একটা করে সংগ্রহ করে।
[৮] সুমাইয়া মামুন বলেন, এগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে দেয়া সম্ভব হয়নি। এত বেশি ডিমান্ড ছিলো যে আমরা তৈরি করতে পারিনি। সব মিলিয়ে ৭০০ পিস তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।
[৯] সহকারী অধ্যাপক বলেন, স্যানেটাইজার বানাতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পরতে হয়ে ক্যামিকেল ও প্লাস্টিক বোতল নিয়ে। কোনো কিছুই পাওয়া যাচ্ছিলো না। তারপর ওপর হল বন্ধ হয়ে যাবে। তাই অল্প হলেও তৈরি করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
[১০] সুমাইয়া বলেন, প্রত্যেকটি বোতল ৫০ এমএল করে বানানো হয়েছিলো। চিন্তা ছিলো যাতে করে, একটা মানুষ পকেটে নিয়ে ঘুরতে পারে। মূলত হাটাহাটি করার সময়, কিংবা বাসে করে কোথাও যাওয়ার সময় বা কোনো কাজ করার সময় হাতকে জীবানু মুক্ত করতে পারে। একএকটি স্যানেটাইজার বানাতে খরচ হয়েছে ৬০-১০০ টাকা।
আপনার মতামত লিখুন :