মাজহারুল ইসলাম : [২] দেশের আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে (কলমানি) তারল্য সংকট চলছে অনেক দিন ধরে। এ অবস্থায় করোনা আতঙ্কে নগদ টাকা তোলার কারণে তারল্য সংকট আরও বেড়েছে। আর তাই গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী টাকা সরবরাহ করতে এই টাকা দেয়া হচ্ছে। বণিকবার্তা
[৩] জানা যায়, গত রোববার নগদ অর্থের চাহিদা ছিলো কমপক্ষে ১৪ হাজার কোটি টাকা। অথচ সেদিন কলমানি বাজারে বিনিয়োগ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। তাই চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১২ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা ধার করতে হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। পরদিন সোমবারও ১১ হাজার ১৭১ কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ পরিস্থিতি চলছে চলতি মাসের শুরু থেকেই।
[৪] তবে ব্যাংকাররা বলছেন, পুঁজিবাজারের মতোই দেশের কলমানি বাজার ধসে পড়েছে। এ বাজার শুকিয়ে যাওয়ার পেছনে করোনাভাইরাসের প্রভাবই একমাত্র কারণ নয়। সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত তুলে নিচ্ছে।
[৫] আমানতের সুদহার কমানোর বিরূপ প্রভাবও পড়েছে ব্যাংকিং খাতে। এছাড়া বেসরকারি খাতে ঋণ না দিয়ে সরকারি বিল-বন্ড কিনে নেয়ার প্রবণতাও এর কারণ। সামগ্রিক পরিস্থিতিকে দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং খাতের জন্য বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন তারা।
[৬] কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, সাধারণ মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। করোনা প্রভাবের আগে থেকেই এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। মানুষ টাকা তুলে নিয়ে কোথায় রাখছে, সেটি খতিয়ে দেখার সময় এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :