লাইজুল ইসলাম : [২] সকালে রাজধানীর বারডেম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও সোহরওয়ার্দী হাসপাতালে রোগী নেই বললেই চলে। সকালে চারটি হাসপাতালের বর্হিবিভাগে তেমন একটা ভীড় দেখা যায়নি। অনেকটা অলস সময় অতিবাহিত করছেন চিকিৎসকেরা। এদিকে, কিডনি, হার্ট, গাইনি, অর্থপেডিক ও ডেন্টাল চিকিৎসা চলছে নিয়ম অনুযায়ী চলছে।
[৩] তবে জ্বর, সর্দি, কাশি ও ঠান্ডা জনিত রোগীদের চাপ ছিলো কিছুটা। এই ধরনের রোগীদের দেখতে বারডেম ও ঢাকা মেডিকেলে নতুন একটি ইউনিট করা হয়েছে। চিকিৎসকরা সবার ট্রিটমেন্ট করছে পিপিই পরে। যথেষ্ট সেফটি গ্রহণ করা হয়েছে। করোনা সন্দেহ হলেই পাঠানো হচ্ছে সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে।
[৪] সকালে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক ডা. নাজিমুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। দুই হাসপাতাল মিলে সাধারণ সময়ে রোগী থাকে ৬শ এর অধিক। এখন রোগী আছে মাত্র ২’শ। এসব কারণে চিকিৎসকদের কাজও কমেছে। তবে কোনো চিকিৎসক ছুটিতে নেই।
[৫] ডা. নাজিমুল ইসলাম বলেন, আমাদের চিকিৎসক আছে প্রচুর। রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পিপিই দরকার। যে পরিমান পিপিই আছে তা যথেষ্ট চিকিৎসকদের জন্য। দেশের জন্য সব সময় প্রস্তুত আছে চিকিৎসকরা। সেজন্য রোস্টার করে কাজ কমানো হয়েছে।
[৬] ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ কান্তি পাল বলেন, অন্যান্য রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। এটা চিন্তার বিষয়। এই রোগীরা কোথায়? এরা তো ট্রিটমেন্ট না নিয়ে চলে গেছে। ট্রিটমেন্ট না নিয়ে গেলে তো এরা সাধারণ রোগে মারা যাবে। সবাইকে নির্ভয়ে চিকিৎসা নিতে আসতে বলেন তিনি।
[৭] সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া জানান, এখন রোগীর সংকট আছে। চিকিৎসক যথেষ্ট স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন রোগীর ট্রিটমেন্ট চলছে। গাইনি, হার্ট ছাড়াও অন্যান্য রোগীর অপারেশনও হয়েছে।
[৮] উত্তম বড়ুয়া বলেন, করোনার কারণে কিছুটা ভীতি রয়েছে চিকিৎসকদের মধ্যে। তবে সেটা কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :